ঢাকা     শুক্রবার   ১১ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২৬ ১৪৩১

যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহিদ দিবস পালন

ঢাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৫৭, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহিদ দিবস পালন

যথাযোগ্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ও সুশৃঙ্খলভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। এ সময়, ভাষাশহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা অতিথিদের স্বাগত জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

একুশের প্রথম প্রহরে সর্বপ্রথম শহিদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের বেদিতে প্রধানমন্ত্রীর ২১ বারের ২১টি পুষ্পস্তবক অর্পণের দুর্লভ ছবি নিয়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে প্রথমবারের মত একটি প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়। শহিদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন।  

এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল শহিদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের প্রাক্কালে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, লো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া, সহ সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুস ছামাদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো, মাকসুদুর রহমান, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা-শিক্ষার্থীবৃন্দ।

এ ছাড়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বিভিন্ন হলের প্রভোস্টের নেতৃত্বে ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি, চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী ইউনিয়ন, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও সর্বস্তরের জনগণ পর্যায়ক্রমে শহিদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

পরে ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচির অংশ হিসেবে উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে প্রভাতফেরির আয়োজন করা হয়। প্রভাত ফেরি স্মৃতি চিরন্তন থেকে শুরু হয়। এরপর আজিমপুর কবরস্থানে ভাষাশহিদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ করা হয়। পরে প্রভাতফেরি সহকারে তারা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে যান এবং পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ভাষাশহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রভাতফেরিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে ভাষা সংগীত পরিবেশন করেন।

উল্লেখ্য, এদিন জোহর নামাজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদুল জামিয়াসহ সব হলের মসজিদ এবং বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকার মসজিদে ভাষাশহিদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়েও শহিদদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

হারুন/এনএইচ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়