ঢাকা     শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

ভবনের নামকরণ করেই দায় সেরেছে জবি প্রশাসন, নেই রফিক স্তম্ভ

লিমন ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৪১, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ২০:০৪, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ভবনের নামকরণ করেই দায় সেরেছে জবি প্রশাসন, নেই রফিক স্তম্ভ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার আঠারো বছর পার হলেও ভাষা শহিদ রফিকের নামে কোনো স্তম্ভ করা হয়নি। শুধু রফিক ভবন করেই দায় সেরেছে প্রশাসন।

জানা গেছে, ভাষা আন্দোলনের বাহাত্তর বছর পেরিয়ে তেহাত্তর পদার্পণের দ্বারপ্রান্তে। ভাষা আন্দোলনে শহিদদের মধ্যে অন্যতম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (তৎকালীন কলেজের) শিক্ষার্থী রফিক উদ্দীন আহমেদ। ভাষার জন্য জীবন বিলিয়ে দেওয়া শহিদ রফিকের নামে দীর্ঘ সাত দশকেও কোনো স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়নি। শুধু একটি ভবনের নামকরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে শহিদ রফিকের স্মৃতি।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, ভাষা শহিদ রফিকের অবদান অনেক। ভাষা আন্দোলনে যারা শহিদ হয়েছেন, তাদের মধ্যে প্রথম ছিলেন তিনি। তার নামানুসারে স্মৃতিস্তম্ভ হলে শিক্ষার্থীরা অনেক অনুপ্রাণিত হতো। রফিকের স্মৃতি, অবদান সম্পর্কে জানতে পারতো। ভাষার জন্য জীবন দেওয়া রফিককে নিয়ে গবেষণা কার্যক্রমের দাবি জানিয়েছেন তারা।

এদিকে দীর্ঘদিনেও এই ভাষা শহিদের স্মৃতি রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন থেকেই ভাষা শহিদ রফিকের নামে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ ও ভাষা শহিদ রফিক কর্ণার নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসলেও তাতে কর্ণপাত করেনি প্রশাসন। শুধু একটি ভবনের নামকরণ করেই দায় সেরেছে তারা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা হতাশা প্রকাশ করেছেন।

বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আতিফ আসাদ বলেন, ভাষা শহিদ রফিকের নামটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছে একটি আবেগের নাম। রফিক উদ্দীনের নামে একটা ভবন আছে। কিন্তু যদি রফিক স্তম্ভ থাকলে ভালো হতো। এতোদিনেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে তা হলো না। এটি প্রসাশনের ব্যর্থতা।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফরহাদ হাসান বলেন, ভাষা শহিদ রফিকের নামে স্তম্ভ থাকলে আমাদের প্রতিটি মুহূর্ত তাকে স্মরণ করতে পারতাম। যা আমাদেরকে ভাষার আত্মত্যাগের অনুপ্রেরণা দিতো। ভাষার জন্য তার অবদানকে স্মরণ করতে নতুন প্রজন্ম আগ্রহী হতো। অনেকেই ভাষা শহিদ রফিক যে এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র সেটাও জানে না। তাকে নিয়ে গবেষণা হওয়াটাও প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম বলেন, ভাষা শহিদের নামে ২০১৪ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনের নাম ‘ভাষা শহিদ রফিক ভবন’ করা হয়েছে। এখন ‘রফিক স্তম্ভ’ করার পরিকল্পনা রয়েছে। নতুন উপাচার্য এসেছেন। তিনি নতুন নতুন পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছেন। ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয় একটি রফিক স্তম্ভ পাবে বলে আশ্বাসও দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ২০০৫ সালে হলেও প্রথমে ব্রাহ্ম স্কুল পরে জগন্নাথ স্কুল এবং জগন্নাথ কলেজ হিসাবে পরিচিত ছিল। শহিদ রফিক উদ্দীন জগন্নাথ কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।

/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়