ঢাকা     শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

মাভাবিপ্রবি ছাত্রলীগের ৯ নেতা বহিষ্কার

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:২৫, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  
মাভাবিপ্রবি ছাত্রলীগের ৯ নেতা বহিষ্কার

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় নয় নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়ানোর অভিযোগে এ বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে কেনো পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে না, তা লিখিতভাবে জবাব দিতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষিতে সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে মাভাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের এসব নেতাদের সাময়িক বহিষ্কার হয়েছে। এছাড়া একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে কেনো পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, আগামী সাতদিনের মধ্যে তার লিখিত জবাব বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

বহিষ্কৃত সভাপতি সমর্থিতরা হলেন- যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এমরান হোসেন মামুন,  যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এএইচএম অপু হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবিদুর রহমান, রকিবুল হাসান রকি, রাফিউল হাসান ও সাদিক ইকবাল।

বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সমর্থিতরা হলেন- শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জোবায়ের দৌলা রিওন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাওন ঘোষ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ রাব্বু।

এর আগে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মানিক শীলের ৩০-৪০ জন অনুসারী মুখে গামছা বেঁধে জননেতা আব্দুল মান্নান হলে প্রবেশ করে। হলটির তৃতীয় তলায় গিয়ে তারা হামলা করলে সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ূন কবীরের অনুসারী ও কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। এসময় বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি শিক্ষার্থী সোহানুর রহমানকে বেধরক পেটায় তারা। তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে জয় কুমার ধর নামক অপর এক শিক্ষার্থীকেও মারধর করে হামলাকারীরা।

এক পর্যায়ে হামলাকারীরা সোহানুর রহমানকে তিন তলা থেকে নিচে ফেলে দেয়। এতে সোহানের কোমর ও হাত-পা ভেঙে যায়। তাকে প্রথমে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ১০ জনেরও বেশি নেতাকর্মী আহত হন। পরে ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিকে তদন্ত রিপোর্ট প্রেরণের জন্য ১৪ দিনের সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়। এছাড়া হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় মাভাবিপ্রবি ছাত্রলীগের দু’পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা করেন। 

এর মধ্যে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মানিক শীলসহ ১২ জনকে আসামি করে টাঙ্গাইল সদর থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন সম্পাদকের অনুসারী জয় কুমার ধর। অন্যদিকে, ১৮ ফেব্রুয়ারি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবিরসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা করেন সভাপতির অনুসারী রুবেল হাসান।

/কাওছার/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়