ঢাকা     সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

সময়মতো পরীক্ষা দিতে পেরে সন্তুষ্ট হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

হাবিপ্রবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৬, ৩০ মার্চ ২০২৪   আপডেট: ১৩:২৭, ৩০ মার্চ ২০২৪
সময়মতো পরীক্ষা দিতে পেরে সন্তুষ্ট হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) নয়টি অনুষদের অধীনে ৪৫টি বিভাগে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন। এসব শিক্ষার্থীরা সবাই সময়মতো তাদের পড়াশোনা শেষ করে একটি ভালো কর্মজীবনে প্রবেশ করতে চান।

কিন্তু অনেকসময় বিভিন্ন কারণে তা হয়ে ওঠে না। রাজনৈতিক ও অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন কারণে সৃষ্টি হয় অ্যাকাডেমিক জট। যা শিক্ষার্থীদের সময়মতো পড়াশোনা শেষের অন্যতম অন্তরায়। তবে সময় মতো সেমিস্টার সম্পন্ন করতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, গত ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মাঝের দেড় বছরে করোনার কারণে বাংলাদেশের প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অ্যাকাডেমিক জট সৃষ্টি হয়। এ জট নিরসনে হাবিপ্রবি প্রশাসন তাদের অ্যাকাডেমিক শিক্ষা কার্যক্রম ছয়মাসের স্থলে চারমাসে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়। এরই অংশ হিসেবে মার্কেটিং বিভাগ চারমাসের অ্যাকাডেমিক রুটিন অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

তারা বলেন, আমাদের বিভাগের শিক্ষকেরা সময়মতো ক্লাস পরীক্ষা নেওয়া এবং ফলাফল প্রকাশের কারণেই আমরা চারমাসেই সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিতে পেরেছি। শিক্ষকদের আন্তরিকতার সঙ্গে সময়মতো ক্লাস, কুইজ, মিডটার্ম পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন নেওয়ার কারণে আমাদের রুটিনমাফিক পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তা-না হলে, আমাদের সমবয়সী একই শিক্ষাবর্ষের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আমাদের চেয়ে এগিয়ে যাবে। প্রতিযোগিতা টিকে থাকা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।

অনুভূতি ব্যাক্ত করতে গিয়ে মার্কেটিং বিভাগের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফজলে রাহাত রাফি বলেন, আমাদের ল্যাব, প্রাক্টিক্যাল না থাকায় অন্যদের তুলনায় আমাদের চাপ কিছুটা কম থাকে। করোনার কারণে যেই জট সৃষ্টি হয়েছিল, ধীরে ধীরে সেটা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হচ্ছি। ডিপার্টমেন্টের স্যারদের আন্তরিকতায় পূর্বনির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা ও সঠিক  সময়ে ফলাফল প্রকাশ মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টকে করেছে গতিশীল।

২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী আশফিকুর রহমান (প্রিয়) বলেন, আমাদের শিক্ষকরা তাদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে আমাদের ক্লাস পরীক্ষা নিয়েছেন। আমরাও শিক্ষকদের নির্দেশনা মেনে ক্লাস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছি। ফলে আমরা চারমাসেই সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিতে পেরেছি। রুটিনমাফিক পরীক্ষা দিতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। আমরা সেশনজটের কবল থেকে রক্ষা পাবো কয়েকগুণে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. জামাল উদ্দিন বলেন, আমরা মার্কেটিং বিভাগ সবসময়ই রুটিনমাফিক ক্লাস, পরীক্ষা নিয়ে থাকি এবং সময়মতো ফলাফল প্রকাশ করি। মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া আছে, তারা যেন সঠিকভাবে ক্লাস, পরীক্ষা নেয়। শিক্ষকরাও বেশ আন্তরিকতার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করে অ্যাকাডেমিক গতিশীলতাকে ত্বরান্বিত করছে। মার্কেটিং বিভাগের ক্লাস, পরীক্ষা এবং ফলাফল প্রকাশ সবকিছু রুটিনমাফিকই হবে।

উল্লেখ্য, ১৮-২০ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের করোনায় সৃষ্ট সেশনজট কমাতে ছয় মাসের পরিবর্তে চার মাসে সেমিস্টার শেষ করার সিদ্ধান্ত নেয় হাবিপ্রবি প্রশাসন। ২১ ব্যাচ থেকে পরবর্তী ব্যাচগুলো নিয়মিত ছয় মাসের সেমিস্টারের অন্তর্ভুক্ত হবে।

/সংগ্রাম/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়