ঢাকা     সোমবার   ১৭ জুন ২০২৪ ||  আষাঢ় ৩ ১৪৩১

প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মানববন্ধন

ক্যাম্পাস ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:২৩, ২৬ মে ২০২৪  
প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মানববন্ধন

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘বৈষম্যমূলক’ উল্লেখ করে তা প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তন- এ তিন দফা দাবিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে রোববার (২৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। রাইজিংবিডির সংবাদদাতাদের পাঠানো খবরে থাকছে বিস্তারিত-

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)

জাবির শহিদ মিনার সংলগ্ন সড়কে সর্বজনীন পেনশন স্কিম থেকে শিক্ষকদের বাদ দেওয়াসহ এসব দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাবি শিক্ষক সমিতি।

সমিতির সহসভাপতি সোহেল আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহেদ রানার সঞ্চালনায় আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ গোলাম রববানী, অধ্যাপক সুলতানা আক্তার, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক সিকদার মো. জুলকারনাইন, নগর ও অঞ্চল বিভাগের অধ্যাপক শফিক–উর রহমান, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদা আক্তার, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আহসান প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা প্রত্যয় স্কিমে শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করাকে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের চক্রান্ত হিসাবে উল্লেখ করে অবিলম্বে প্রত্যয় স্কিম থেকে শিক্ষকদের বাদ দিয়ে স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো দেওয়ার দাবি জানান। এছাড়া আগামীকালের মধ্যে দাবি মানা না হলে ২৮ মে সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ২ ঘণ্টা ক্লাস বর্জনের হুঁশিয়ারি দেন।  

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি)

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে পেনশন বৈষম্যে দূরীকরণে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে তিন দফা দাবিতে জবিতে শিক্ষক সমিতির ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়েছে।

এসময় বক্তব্য দেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শেখ মাশরিক হাসান, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হোসনে আরা জলি, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নূরে আলম আব্দুল্লাহ, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক রইছ উদ্দীন, অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মো. সেলিম প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, একটি জাতিকে ধ্বংস করতে পারমাণবিক বোমা দরকার নেই, শিক্ষাব্যবস্থাকে আঘাত করলেই হয়। বাংলাদেশ যখনই এগিয়ে যাচ্ছে, তখনই একটি মহল শিক্ষকদের পেছনে লাগে। সর্বজনীন পেনশন স্কিম সুন্দর একটা স্কিম, কিন্তু একটি মহল অল্প কয়েকজন পেশাজীবীকে অন্তর্ভুক্ত করে নিজেদের আওতামুক্ত রেখেছে। এ ধরনের স্কিম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য প্রযোজ্য হবে না। সর্বজনীন শব্দটার যথার্থ ব্যবহার হওয়া উচিত। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে। দাবি আদায়ে তীব্র আন্দোলন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিটাকে হেয় করার জন্য এমনটা করা হচ্ছে। দেশে যখন কোনো সমস্যা না থাকে, শান্তিতে চলে, তখনই আমলারা সমস্যা সৃষ্টি করে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)

সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের সামনে শিক্ষক সমিতি পক্ষ থেকে তিন দফা দাবিতে মানববন্ধন করা হয়। সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন, সমিতির সভাপতি ড. মোঃ আবু তাহের, সদস্য ড. মো. শামিমুল ইসলাম প্রমুখ।

এসময় তারা বলেন, শিক্ষাঙ্গনকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়ার জন্য তিলে তিলে  নানামুখী কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবয়নের জন্য পায়তারা করা হচ্ছে। বেতন কাঠামোর যে পেনশন নীতিমালা শিক্ষকদের জন্য প্রচলিত ছিল, সেটি থেকে সুক্ষ্মভাবে তাদেরকে বঞ্চিত করতে যে প্রত্যয় নামক সার্বজনীন স্কিম সেটিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত না। সরকারকে নানাভাবে প্রলুব্ধ করে শিক্ষকদের বঞ্চিত করার জন্য এ প্রত্যয় স্কিম চালু করা হয়েছে। অথচ সরকারের তিনটি বাহিনীকে (সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী) এ স্কিমের আওতায় নিয়ে আসা হয়নি।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)

বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে দুপুর ১২টায় ইবির অনুষদ ভবনের সামনে মানববন্ধন করা হয়।

এসময় ইবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমানসহ শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, বর্তমানে যে পেনশন স্কিম চালু আছে সেখানে একজন শিক্ষক অবসরের পর যে পরিমাণ অর্থ পায়, প্রত্যয় স্কিম চালু হলে তার চেয়ে অনধিক ১ কোটি টাকা কম পাবে। শিক্ষকদের অবসরের বয়স ৬৫ বছরের পরিবর্তে প্রত্যয় স্কিমে ৬০ বছর করা হয়েছে। এছাড়াও প্রত্যয় স্কিম প্রণয়নে একজন শিক্ষক মারা গেলে তার নমিনি ৭৫ বছর পর্যন্ত ভাতা পাবেন, যা বর্তমানে চালু নেই। এমনই নানা রকম অসঙ্গতি রয়েছে এ সিস্টেমে। ২০১৫ সালে যারা ষড়যন্ত্র করেছিল, তারই এ স্কিম ঘোষণার সঙ্গে জড়িত। প্রধানমন্ত্রী যখন সর্বজনীন পেনশন ঘোষণা করেন, তখন এ ‘প্রত্যয়’ স্কিম অন্তর্ভুক্ত ছিল না। 

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)

দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বরে একই দাবিতে মানববন্ধন করেছে বেরোবি শিক্ষক সমিতি। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. বিজন মোহন চাকীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মণ্ডল আসাদের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য দেন, অধ্যাপক ড. গাজী মাজহারুল আনোয়ার, অধ্যাপক ড. আবু রেজা মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক শাহজামান তপু, সহযোগী অধ্যাপক হারুন অর রশীদ, সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল লতিফ, সহযোগী অধ্যাপক শেখ মাজেদুল হক, সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মাহবুব প্রমুখ। 

বক্তারা বলেন, আগামী ১ জুলাই থেকে যোগদানকৃতদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করার যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তা বৈষম্যমূলক। এ ধরনের বৈষম্য বাংলাদেশের সংবিধানের মূল চেতনার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। প্রত্যয় স্কিমটি নামে সর্বজনীন হলেও আদতে সর্বজনীন নয়। সরকারের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান- সামরিক, বেসামরিক আমলাতন্ত্র ও বিচার বিভাগকে এই প্রক্রিয়ার বাইরে রেখে একে সর্বজনীন বলার সুযোগ নেই। স্কিমটি যদি সত্যিই সর্বজনীন হয়ে থাকলে সব বিভাগকে এর আওতায় আনা হোক। অন্যত্থায় এ অন্যায্য ও বৈষম্যমূলক স্কিম অবিলম্বে বাতিল করা হোক।

তারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নিজস্ব পরিচয় রয়েছে, সিন্ডিকেট রয়েছে, সিনেট রয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কখনই যায় না।

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)

পেনশনের প্রজ্ঞাপন বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনসহ কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছে নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এ হুশিয়ারি দেন।

সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড.বিপ্লব মল্লিকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড.আনিসুজ্জামানের সঞ্চালনায় এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। 

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে এ ‘প্রত্যয়’ স্কিমের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করা কুচক্রী মহলের চক্রান্ত উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানান শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।

শিক্ষক নেতারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীরা শিক্ষাজীবন শেষে শিক্ষকতা পেশায় নিজেদের নিয়োজিত করেন। এ ব্যবস্থা কার্যকর হলে আগামী দিনে মেধাবীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতায় আসার আগ্রহ হারাবে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কার্যক্রম পিছিয়ে পড়বে এবং দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির ক্ষেত্র সংকুচিত হবে। রাষ্ট্র দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতির মুখে পড়বে এবং প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে উন্নীত করার পরিকল্পনা ব্যাহত হবে।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় (রবি)

সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-৩ এর সামনে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিন দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে রবি শিক্ষক সমিতি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের শিক্ষকগণ অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় তারা সর্বজনীন পেনশন স্কিমকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের পাশাপাশি স্বতন্ত্র বেতনকাঠামো বাস্তবায়নের দাবি জানান। দাবি আদায়ে কাজ থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করারও হুঁশিয়ারি দেন তারা।

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি)

দুপুরে মাভাবিপ্রবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে তিন দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এএসএম সাইফুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড.মাসুদার রহমান, কার্যকারী সদস্য অধ্যাপক ড. লুৎফুন্নেসা বারি, অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক, অধ্যাপক ড.ফজলুল করিম প্রমুখ ।

এসময় বক্তারা বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নেক্কারজনক জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। এই কুচক্রী মহলের বিরুদ্ধে আমরা দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছি। সার্বজনীন পেনশন স্কিম সবার জন্য হওয়া উচিত। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারির জন্য নয়। 

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)

সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে একই দাবিতে হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজার রহমান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সাদেকুর রহমান, গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শ্রীপতি সিকদার, প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. বলরাম রায় প্রমুখ। 

বক্তারা বলেন, এ বৈষম্যমূলক স্কিমের কারণে মেধাবীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করবে না। যারা নতুন যোগদান করবে এবং আমরা যারা বর্তমানে রয়েছি, তাদের মাঝে বৈষম্য সৃষ্টি হবে। প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো, যেন এই পেনশন স্কিম বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য সুপার গ্রেড ও স্বতন্ত্র বেতন স্কেল চালু করা হয়।

উল্লেখ্য, সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আগের চারটি স্কিমের সঙ্গে ‘প্রত্যয়’ নামের একটি প্যাকেজ চালু করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব ধরনের স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরতদের বর্তমান পেনশন ব্যবস্থা থেকে বের করে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আগামী ১ জুলাই থেকে এসব প্রতিষ্ঠানে যারা যোগদান করবেন তাদের বাধ্যতামূলকভাবে সর্বজনীন পেনশনের সর্বশেষ স্কিমের আওতাভুক্ত করতে হবে। ফলে আগামী ১ জুলাই এবং তৎপরবর্তীতে নিয়োগপ্রাপ্তরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়