ঢাকা     শনিবার   ০৪ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২১ ১৪৩১

বৃষ্টিপ্রার্থনায় কুষ্টিয়ায় ইসতিসকার নামাজ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১০, ২২ এপ্রিল ২০২৪  
বৃষ্টিপ্রার্থনায় কুষ্টিয়ায় ইসতিসকার নামাজ

খড়িলার বিলে ইসতিসকার নামাজ পড়ছেন স্থানীয় মুসল্লিরা

তীব্র তাপদাহ থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টির আশায় কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় ‘ইসতিসকার নামাজ’ আদায় করেছেন স্থানীয় মুসল্লিরা। সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামের খড়িলার বিলে এই নামাজ পড়েন তারা। ইউনিয়নের বল্লভপুর, রসুলপুর, ভবানীপুর, জোতমোড়া ও বরইচারা গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন জামাতে। পরে তারা আল্লাহ দরবারে হাত তুলে মোনাজাত করেন।

নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন রসুলপুর মাদরাসার হেফজখানার শিক্ষক মাওলানা মুফতি নাসির উদ্দিন আল ফরিদী।আগামীকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ও আগামী বুধবার (২৪ এপ্রিল) একই স্থানে সকাল ৮ টায় বৃষ্টির জন্য আবারও ইসতিসকার-এর নামাজ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বৈশাখ মাসের ৯ তারিখ চলছে। এখন কালবৈশাখীর মৌসুম। কিন্তু, এখন পর্যন্ত বৃষ্টির কোনো দেখা নেই। তীব্র গরমের কারণে নদী, খাল-বিল ও পুকুর শুকিয়ে গেছে। পানির স্তর নেমে গেছে অনেক। অগভীর নলকূপ ও সেচ পাম্পে পানি উঠছে না। তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে। মাঠে রোদে পুড়ে কৃষকের ফসল নষ্ট হচ্ছে। আম-লিচুর গুটি ঝড়ে পড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। নামাজে সবাইকে অংশ নেওয়ার জন্য আগে থেকেই মাইকে প্রচার করা হয়েছিল।

সরেজমিন খড়িলার বিলে গিয়ে দেখা যায়, পাঞ্জাবি, শার্ট, টি শার্ট, লুঙ্গি, গামছা, টুপি পড়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ইসতিসকার নামাজ আদায়ে মাঠে হাজির হয়েছেন। এসময় ইমামকে মুসল্লিদের উদ্দেশে নামাজের নিয়ম বলে দেন। এরপর ইমামের পেছনে দাঁড়িয়ে মুসল্লিরা দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে দুই হাত তুলে সবাই তীব্র তাবদাহ ও খরা থেকে রক্ষা পেতে এবং বৃষ্টির জন্য দোয়া করেন আল্লাহর কাছে।

নামাজে অংশ নেওয়া কৃষক মিরাজুল রহমান বিশ্বাস বলেন, বৃষ্টিবাদল নেই। খুব তাপ। কলে ( টিউবওয়েলে) ও বোরিংয়ে পানি উঠছে না। মাঠে ফসল নষ্ট হচ্ছে। বৃষ্টি চেয়ে নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে দোয়া চেয়েছি।

রসুলপুর মাদরাসার হেফজখানার শিক্ষক মাওলানা মুফতি নাসির উদ্দিন আল ফরিদী বলেন, বৃষ্টি না হলে আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) সাহাবীদের নিয়ে খোলা ময়দানেইসতিসকার নামাজ আদায় করতেন। 

দহখোলা দক্ষিণ ভবানীপুর কওমী হাফেজিয়া মাদরাসার সহকারী শিক্ষক মাওলানা রাসেল মোল্লা জানান, বৃষ্টির না হওয়ার কারণে মানুষ, পশুপাখি ও গাছপালা খুব কষ্টে আছে। সেজন্য তারা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়েছেন। আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার একই স্থানে আবারও বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় করা হবে।

কুমারখালী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগেরর কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ জানান, সকালে ৩৩ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকছে। বিকেল ৩ টার দিকে তাপমাত্রা বেড়ে ৩৯ থেকে ৪১ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যাচ্ছে। আপাতত বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনাও নেই বলেও জানান তিনি। 

কাঞ্চন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়