ঢাকা     সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

‘বুশরাই জানেন, ফারদিন হত্যার প্রকৃত রহস্য’

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫৩, ১০ নভেম্বর ২০২২   আপডেট: ১৫:৫৪, ১০ নভেম্বর ২০২২
‘বুশরাই জানেন, ফারদিন হত্যার প্রকৃত রহস্য’

ফারদিন নূর পরশ

‘বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য তার বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাই জানেন। কারণ, ঘটনার দিন তারা একসঙ্গে ছিলেন।’

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) ফারদিনের মৃত্যুর মামলায় গ্রেপ্তার তার বান্ধবী বুশরার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। রিমান্ড আবেদনে এ কথা বলেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রামপুরা থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ গোলাম মউলা।

রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, গত ৪ নভেম্বর দুপুর ৩টার দিকে ফারদিন পরীক্ষার জন্য বুয়েটের উদ্দেশে বের হন। ফারদিনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় তার বাবা নুর উদ্দিন রানা বুয়েটে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ফারদিন পরীক্ষায় অংশ নেননি। তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল। এ অবস্থায় ভিকটিমের বাবা রামপুরা থানায় ৫ নভেম্বর একটি জিডি করেন। ফারদিন বাসা থেকে বের হওয়ার সময় থেকে বিকেল পর্যন্ত বুশরার সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। প্রথমে তারা সিটি কলেজের কাছে দেখা করেন। পরে নীলক্ষেত ও ধানমন্ডি এলাকা ঘুরে বিকেল ৫টার দিকে ‘ইয়াম চা ডিস্ট্রিক’ নামের একটি রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়েছেন। পরে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। ৪ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে রিকশায় করে রামপুরা থানাধীন বিটিভি ভবন সংলগ্ন এলাকায় আসেন।

এদিকে, তিন খোঁজাখুঁজির পর ৭ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফারদিনের বাবা খবর পান, তার ছেলের লাশ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। পরে তিনি ছেলের লাশ শনাক্ত করেন।

আবেদনে আরও বলা হয়, ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় বুশরাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জানা যায়, আসামির সঙ্গে ভিকটিমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন তারা একসঙ্গে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাফেরা করেছেন। ফারদিনের হত্যার ঘটনাটি খুবই রহস্যজনক। ভিকটিম বুয়েটের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার রহস্যজনক মৃত্যুতে ভিকটিমের পরিবার, সহপাঠী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং সবাই মর্মাহত। এছাড়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও আলোচনা চলছে। ঘটনাটি  চাঞ্চল্যকর। আসামি বুশরাই একমাত্র ঘটনার প্রকৃত রহস্য জানেন। কারণ, ঘটনার দিন তারা একসঙ্গে ছিলেন।

ভিকটিমকে কয়জন মিলে হত্যা করেছে; কিভাবে, কোথায়, কোন অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়েছে এবং কিভাবে, কোন স্থান থেকে ভিকটিমের লাশ নদীতে ফেলানো হয়েছে, কী কারণে ভিকটিমকে হত্যা করা হয়েছে, এসব তথ্য উদঘাটনের জন্য আসামির সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হোক।

আদালত বুশরার কাছে জানতে চান, তার কোনো আইনজীবী আছে কি না? বুশরা আদালতকে বলেন, ‘জানি না।’ এর পর আদালত বুশরার ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

মামুন/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়