ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

সিনিয়র এএসপি আনিস হত্যা মামলায় বাবার সাক্ষ্য শেষ

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:১৭, ২৯ মে ২০২৪  
সিনিয়র এএসপি আনিস হত্যা মামলায় বাবার সাক্ষ্য শেষ

আনিসুল করিম (ফাইল ফটো)

সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন তার বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ।

বুধবার (২৯ মে) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালতে ফাইজুদ্দীন আহম্মেদকে জেরা শেষ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। তার জেরা শেষে আগামী ১ জুলাই সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। গত ১১ মার্চ ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন হাওলাদার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ মামলায় গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। আসামিরা হলেন—জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুন, মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক আরিফ মাহামুদ, ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান, কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, সাজ্জাদ আমিন ও ফাতেমা খাতুন, হাসপাতালের সমন্বয়ক রেদোয়ান সাব্বির, হাসপাতালের কর্মচারী মাসুদ খান, জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম কুমার পাল, লিটন আহম্মেদ, সাইফুল ইসলাম ও আবদুল্লাহ আল-আমিন। আসামিদের মধ্যে অসীম কুমার পাল কারাগারে। শাখাওয়াত হোসেন পলাতক। অপর ১৩ আসামি জামিনে আছেন।

সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিম মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। ভর্তির কিছুক্ষণ পর ওই হাসপাতালের কর্মচারীদের ধস্তাধস্তি ও মারধরে আনিসুল করিমের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ বাদী হয়ে রাজধানীর আদাবর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০২২ সালের ৮ মার্চ এ মামলায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. ফারুক মোল্লা।

এ মামলায় এজাহারে ডা. নুসরাত নামের একজনকে আসামি করা হয়নি। কিন্তু, মামলা দায়েরের পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন তিনি। তবে, চার্জশিটে তার নাম আসেনি। এএসপি আনিসের পরিবারের ধারণা, নিশ্চয়ই ডা. নুসরাত হত্যার সঙ্গে জড়িত। তা না হলে কেন তিনি আগেই জামিন নেবেন? এজন্য মামলাটি পুনরায় তদন্তের আবেদন করেন আনিসের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ। পরে আদালত তা মঞ্জুর করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই‘র পরিদর্শক (নিরস্ত্র) এ কে এম নাসির উল্যাহ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক মুহাম্মদ নিয়াজ মোর্শেদ মারা যাওয়ায় এবং আসামি ডা. নুশরাত ফারজানার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় মামলা থেকে তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

মামুন/রফিক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়