ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

১৫ মামলায় পি কে হালদারের ২ সহযোগীর আত্মসমর্পণ 

নিজস্ব প্রতিবেদক  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৪, ৪ জুন ২০২৪   আপডেট: ১২:২০, ৪ জুন ২০২৪
১৫ মামলায় পি কে হালদারের ২ সহযোগীর আত্মসমর্পণ 

দুদকের করা ১৫ মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়েছেন গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের সহযোগী ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের সাবেক পরিচালক বাসুদেব ব্যানার্জী এবং তার স্ত্রী পাপিয়া ব্যানার্জী।

মঙ্গলবার (৪ জুন) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। দুপুর ১২টার পর জামিনের বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান দুদকের সহকারী পরিচালক (প্রসিকিউশন সার্বিক) আমিনুল ইসলাম।

জানা গেছে, জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০২১ সালে বেশ কিছু মামলা করে। এর মধ্যে গত ৯ মে উচ্চ আদালত থেকে ১৫টি মামলায় ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নেন বাসুদেব ব্যানার্জী এবং তার স্ত্রী পাপিয়া ব্যানার্জী। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের আগাম জামিন দেন। কিন্তু দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের এমন জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করে দুদক। ১৩ মে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত আগাম জামিন আদেশ স্থগিত করেন। পরে ২৩ মে দুদকের করা আবেদন নিষ্পত্তি করেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে সাত বিচারকের আপিল বেঞ্চ। তখন ৪ জুনের মধ্যে বাসুদেব ব্যানার্জী এবং তার স্ত্রী পাপিয়া ব্যানার্জীকে নিম্ন আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

জানা গেছে, ২০২১ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের পরিচালক বাসুদেব ব্যানার্জি ও তার স্ত্রী পরিচালক পাপিয়া ব্যানার্জির বিরুদ্ধে এসব মামলা দায়ের করে। মামলার অন্যতম আসামি প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার।

মামলাগুলোতে প্রায় সাড়ে ৭শ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। অনিয়মের মাধ্যমে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আছে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে। বর্তমানে পি কে হালদার গ্রেপ্তার হয়ে ভারতের কারাগারে আটক রয়েছেন। পি কে হালদারকে অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর ২২ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। একই সঙ্গে তার সহযোগী ও অন্যান্য অপরাধে অভিযুক্ত ১৩ সহযোগীকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ঢাকা/মামুন/ইভা 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়