ঢাকা     রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৭ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

উৎসবমুখর ডিএনসিসি ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্ক

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫০, ১৩ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
উৎসবমুখর ডিএনসিসি ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্ক

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ঈদের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে রাজধানীতে। আনন্দমুখর সময় কাটাতে রাজধানী ও এর আশপাশের বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্রে ভিড় জমিয়েছেন নানা বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষ। দুপুর থেকেই ভিড় বাড়ছে রাজধানীর অন্যতম বিনোদনকেন্দ্র ডিএনসিসি ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্কে।

শিশু মেলা নামে পরিচিত এই বিনোদনকেন্দ্রে সারা বছরই ভিড় থাকে। তবে ঈদের সময় এই ভিড় ভিন্ন মাত্রা পায়। আজ মঙ্গলবার ঈদের দ্বিতীয় দিনে হালকা বৃষ্টি থাকলেও মানুষ আনন্দ উপভোগের সুযোগ নষ্ট করতে চায়নি। ঈদের আনন্দ যেন উপচে পড়েছে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই বিনোদনকেন্দ্রে। পার্কটি শিশুদের উপযোগী করে তৈরি করা হলেও সব বয়সী মানুষই ঘুরতে আসেন এই পার্কে।

জহির নামের পার্কের একজন গার্ড বলেন, রাজধানীতে যত পার্ক আছে, সবগুলোর থেকে এটি ভিন্ন। তাই এখানে প্রতিদিনই দর্শনার্থীরা আসেন। কিন্তু ঈদের সময় এবং বন্ধের দিনগুলোতে প্রচুর ভিড় হয়।

মহানগরীতে বর্তমানে রাইডসম্বলিত মূলধারার বিনোদন পার্ক চারটি। এগুলো হচ্ছে- সায়েদাবাদ ওয়ান্ডারল্যান্ড, শাহবাগে অবস্থিত শহীদ জিয়া শিশু পার্ক, শ্যামলীর ডিএনসিসি ওয়ান্ডারল্যান্ড এবং উত্তরার ফ্যান্টাসি আইল্যান্ড। এর মধ্যে শিশু পার্ক ছাড়া বাকি তিনটিই গড়ে উঠেছে বেসরকারি উদ্যোগে। এছাড়া, আগারগাঁওয়ে পুরাতন বিমানবন্দরে বিমান বাহিনী জাদুঘরেও বিনোদন পার্কের সুবিধা রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর মধ্যে অবস্থান এবং যাতায়াত সুবিধার কারণে বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে শ্যামলীর শিশু-কিশোর বিনোদনকেন্দ্রটি।

শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য আলাদা কর্নার আছে এই পার্কে। সেই সঙ্গে রয়েছে সবার জন্য হাঁটার প্রশস্ত লনও। ব্যায়ামের জন্যও রয়েছে আলাদা জায়গা। সবুজায়নের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্ক কর্তৃপক্ষের। সব মিলে একটি পরিকল্পিত অত্যাধুনিক ও রুচিকর পার্ক হিসেবে এর সুনাম রয়েছে। এই বিনোদনকেন্দ্রের প্রবেশ মূল্য ৬০ টাকা। রাইডগুলোতে চড়তে প্রতিটির জন্য আলাদা আলাদা চার্জ ৫০ টাকা করে। এখানে শিশু এবং বড়দের জন্য আলাদা রাইডের ব্যবস্থা আছে। সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে এটি।

আজ সকাল থেকেই পার্কে লোক সমাগম শুরু হয়। তবে দুপুরের পর থেকে মা-বাবার হাত ধরে অসংখ্য শিশু, কিশোর-কিশোরীকে আসতে দেখা যায়। বিভিন্ন রাইডে চড়তে লাইন ধরতে হচ্ছে দর্শনার্থীদের। প্রতীক্ষার পর যারা রাইডগুলোতে চড়ার সুযোগ পাচ্ছেন, তাদের মধ্যে বেশ উচ্ছ্বসিত ভাব। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে বাড়তে থাকে ভিড়। প্রতিটি রাইডের সামনেই ছিল একই চিত্র। শিশুদের সঙ্গে বড়রাও চড়েছেন বিভিন্ন রাইডে।

পার্কের ব্যবস্থাপক আবুল কালাম বলেন, ঈদ কিংবা অন্য কোনো উৎসব ও জাতীয় ছুটির দিনে এই বিনোদনকেন্দ্রে বেশি দর্শনার্থী থাকে। প্রতিদিন গড়ে ৫ হাজার দর্শনার্থী এখানে আসে।

তিনি বলেন, পার্কের জনপ্রিয় রাইডগুলোর মধ্যে রয়েছে- মেরি গো রাউন্ড, চুক চুক ট্রেন, ওয়ান্ডার হুইল, প্যারাট্রুপার, হানিসুইং, সোয়ান অ্যাডভেঞ্চার, বাম্পার কার, টুইস্ট, স্পেস শাটল, মিনি রোলার কোস্টার।

ওয়ান্ডারল্যান্ডে ঘুরতে আসা শ্যামলীর বাসিন্দা আফরিন জাহান বলেন, ঈদের দিন আসতে পারিনি বাসার কাজের চাপে। আজ এসেছি। তবে প্রচণ্ড ভিড়। তারপরও বাচ্চাদের অনেকগুলো রাইডে চড়াতে পেরেছি।

তিনি বলেন, সুযোগ পেলেই সন্তানদের নিয়ে শিশুমেলায় আসি। বিভিন্ন রকম রাইড থাকায় শিশুরা এখানে অনেক আনন্দ পায়।

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ আগস্ট ২০১৯/হাসান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়