ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

আরো পৌনে ১ লাখ রোহিঙ্গা যোগ হচ্ছে দেশে

কূটনৈতিক প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪৬, ১৮ নভেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আরো পৌনে ১ লাখ রোহিঙ্গা যোগ হচ্ছে দেশে

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গত এক বছরে ৫০ হাজার শিশু জন্ম নিয়েছে। বর্তমানে সেখানে গর্ভবতী নারী আছে ২০ হাজার। সে হিসাবে চলতি বছর শেষে ১১ লাখের সঙ্গে যোগ হবে আরো প্রায় পৌনে ১ লাখ রোহিঙ্গা। এমনভাবে চলতে থাকলে দ্রুত গতিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জনসংখ্যা বাড়বে।

সোমবার জাতীর প্রেসক্লাবে ‘আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়।

আইসিএলডিএস-ভোরের কাগজ আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আইসিএলডিএলের (ইনস্টিটিউট অব কনফ্লিক্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে) সভাপতি মোহাম্মদ জমির।

অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য বিভিন্ন দেশে যোগাযোগ করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্টারি তৈরি করে বাস্তব চিত্র তুলে ধরতে হবে। মিয়ানমারকে চাপের মধ্যে রাখতে হবে। পাশাপাশি তৃতীয় কোনো দেশকে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। তা না হলে ১০ বছরেও এ সমস্যার সমাধান হবে না।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, মিয়ানমার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বা ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের (আইসিজে) সদস্য হোক বা না হোক; বিচারে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সু চিসহ ঊর্ধ্বতন ২০ জনের বিরুদ্ধে রায় হলে তা মানতে বাধ্য হবে বিশ্বের সব দেশ। তারা অন্য দেশে গেলেও তাদের গ্রেপ্তার করতে বাধ্য হবে।

শাহরিয়ার আলম বলেন, ২০ থেকে ২৫ বছর আগে থেকেই রোহিঙ্গারা আমাদের দেশে বসবাস করছে। মিয়ানমার থেকে নতুন করে রোহিঙ্গারা এসে সর্বশেষ এ সংখ্যা ১১ লাখে দাঁড়িয়েছে। এ সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, উখিয়ায় স্থায়ী বাসিন্দা ৪ লাখ আর রোহিঙ্গা ১১ লাখ। এ কারণে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেছে। প্রথম থেকেই রোহিঙ্গাদের জন্য দেশি-বিদেশি যেসব অনুদান আসত সেগুলোর ১৫ শতাংশ স্থানীয়দের জন্য ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে সেটি আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। বলতে গেলে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার মানুষের চেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলার মানুষ।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, অনেকের দাবি- চীন, জাপান ও ভারত রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমাদের সাহায্য করছে না। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। তারা জাতিসংঘসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আমাদের পক্ষেই কথা বলেছেন।

বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ্ কামাল। আলোচনায় অংশ নেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর এমদাদুল ইসলাম, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মোবিন চৌধুরী, সাংবাদিক ও কলামিস্ট অজয় দাশগুপ্ত, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, উখিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী প্রমুখ।


ঢাকা/হাসান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়