আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার চুক্তি অনুসমর্থন

বাংলাদেশে ভ্যাকসিন উৎপাদন এবং এ সম্পর্কিত গবেষণার জন‌্য প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা পেতে আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট (আইভিআই) প্রতিষ্ঠার চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ‌্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘১৯৯৬ সালের ২৮ অক্টোবর ইউনাইটেড নেশন ডেভেলপমেন্টের প্রোগ্রামের উদ্যোগে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউটের চুক্তি হয়েছিল। সেখানে আমরা স্বাক্ষর করি। কিন্তু এটার পূর্ণ সদস্য হতে আমাদের কেবিনেটের অনুমোদনের দরকার, সেজন্য এ প্রস্তাব তোলা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এটা যদি আমরা করি, তাহলে বাংলাদেশে ভ্যাকসিন উৎপাদন এবং এ সম্পর্কিত গবেষণার জন‌্য প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা পাওয়া যাবে। এতে দেশের ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বাড়বে।
ভ্যাকসিন উৎপাদন, প্রয়োগ ও মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরও যুগোপযোগী হবে।’

‘নতুন আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনের প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে দেশে নতুন ভ্যাকসিন উৎপাদন আরও সহজ হবে। ফলে দেশে স্বল্পমূল্যে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। ভ্যাকসিনের জন‌্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যোগ্যতা অর্জনের পথও সুগম হবে, যা বিদেশে বাংলাদেশের ভ্যাকসিনের বাজার সম্প্রসারণে সহায়ক হবে,’ বলেন খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘আমাদের ফার্মাসিউটিক্যাল পণ‌্য মানসম্মত, যা বিশ্বে প্রমাণিত। সুতরাং এক্ষেত্রে আমরা আশা করছি, খুব শিগগিরই বা দ্রুত এগুলো অর্জন করতে পারব। বিশেষ করে, বর্তমান অবস্থার পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আরও বেশি প্রয়োজন বলে অনুভূত হয়েছে।’

গ্লোব বায়োটেকের ভ্যাকসিনের বিষয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘গ্লোব বায়োটেক এখনও তো ট্রায়াল শেষ করেনি। এ বিষয়েও আলোচনা হয়েছে কেবিনেটে। তারা যদি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল মেনে করতে পারে, তাহলে তারা ট্রায়াল করবে। তারপর দেখা যাবে।’