লকডাউনের পঞ্চম দিনে ঢাকার চিত্র
লকডাউনের পঞ্চম দিনে ঢাকার রাস্তায় বেড়েছে গাড়ি। ছবি : রাইজিংবিডি
করোনায় প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্ত আর মৃতের সংখ্যা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সারা দেশে পালিত হচ্ছে কঠোর লকডাউন। কঠোর বিধিনিষেধের পঞ্চম দিন মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। এদিকে, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাইরে বের হলেই নানা ধরনের পুলিশি তল্লাশির মুখে পড়তে হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর হাতিরপুল, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, মিরপুর রোড, সাত মসজিদ রোড, শাহবাগ, আসাদগেট, বিজয় সরণি, তেজগাঁও, মৎস্য ভবন এলাকায় ঘুরে এসব দৃশ্য দেখা গেছে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন মো. কামরুজ্জামান। মোটরসাইকেল চালিয়ে শ্যামলী থেকে ঝিগাতলা যাচ্ছিলেন অফিসের কাজে। আবাহনী মাঠের পাশে পুলিশের চেকপোস্টে তাকে আটকানো হয়। মোটরসাইকেলের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারায়, তার বিরুদ্ধে ১ হাজার টাকার মামলা দায়ের করা হয়।
কামরুজ্জামান বলেন, ‘ঈদের পরে আজই অফিসের কাজ শুরু হয়েছে। এ কারণে সকালে তাড়াহুড়ো করে অফিসের কাজে বেরিয়েছি। ফলে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র ভুলে আনিনি। আর সে কারণেই মামলা খেয়ে জরিমানা দিলাম’।
আইএফআইসি ব্যাংকের কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে মতিঝিল যাওয়ার পথে শাহবাগ পুলিশের চেকপোস্টে আটকা পড়েন। বাইরে বের হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি তার ব্যাংকের আইডি কার্ড দেখালে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেন।
সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে সিটি কলেজেরে সামনে বসানো চেকপোস্টের দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট মাসুম বলেন, ‘বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া যারা ব্যক্তিগত পরিবহন বা রিকশায় বের হয়েছেন, তাদের সবাইকে মামলা দিয়ে জরিমানা করা হয়েছে। মামলা বা জরিমানা বড় কথা নয়। সবার প্রতি অনুরোধ, প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হবেন না। নিজে সুস্থ থাকুন, অন্যকেও সুস্থ থাকতে সহায়তা করুন’।
রাসেল স্কয়ারের পাশে বসানো পুলিশ চেকপোস্ট। দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্ট রফিক ও মিজানের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, গত চার দিনের তুলনায় আজ (২৭ জুলাই) সকাল থেকে রাস্তায় পরিবহনের চাপ বেড়েছে। ব্যাংক, হাসপাতালসহ বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান খুলেছে। অনেকে ব্যক্তিগত গাড়িতে চলাফেরা করছেন। ফলে রাস্তায় গাড়িও বেড়েছে।
এছাড়া জরুরি কাজেও মানুষজন রাস্তায় চলাফেরা করছেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যাদের পাওয়া যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। সকাল থেকে মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও রিকশার যাত্রী মিলিয়ে ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তারা।
অন্যদিকে, আসাদগেট, বিজয় সরণি, তেজগাঁও, মৎস্য ভবনসহ কিছু জায়গায় দেখা গেছে, চেকপোস্ট বসানো হলেও তেমন জিজ্ঞাসাবাদ না করার কারণে এসব এলাকা দিয়ে অবাধে যানবাহন চলাচল করছে।
মেয়া/এসবি
আরো পড়ুন