ঢাকা     শনিবার   ০৪ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২১ ১৪৩১

আজও ছুটছে বাড়ির পানে 

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:২১, ২ মে ২০২২   আপডেট: ২০:৩৩, ২ মে ২০২২
আজও ছুটছে বাড়ির পানে 

ছবি: রাইজিংবিডি

রাত পোহালেই ঈদ (ঈদুল ফিতর)। আর তাই কর্মব্যস্ততাকে ছুটি দিয়ে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ির দিকে ছুটছেন ঘরমুখো মানুষ। গত কয়েকদিন ব্যস্ততাসহ বিভিন্ন কারণে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে যারা গ্রামের বাড়ি যেতে পারেনি, তারা সোমবার (২ মে) ভোর থেকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল হয়ে নৌপথে ছুটছেন নিজ নিজ গন্তব্যে। তবে সদরঘাটের আজকের চিত্র স্বাভাবিক সময়ের মতো।

বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, এ বছর ঈদ উদযাপনে সদরঘাট হয়ে ঢাকা ছাড়বেন অর্ধকোটি মানুষ। এজন্য প্রতিদিন  দেশের ৪৩ রুটে যাত্রী পরিবহন করছে ২২০টি লঞ্চ। 

এবারের ঈদ উপলক্ষে এলাকাভিত্তিক লঞ্চ ছাড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে- ঝালকাঠি মাদারীপুর-৪ নম্বর গ্যাংওয়ে, রায়েন্দা, গোমা, মুলাদি, ভাষানচর ৭ নম্বর গ্যাংওয়ে, সবুজবাগ, আমতলী, পয়সার হাট, বরগুনা ৮ নম্বর গ্যাংওয়ে, লালমোহন, বেতুয়া, কালাইয়া ৯ নম্বর গ্যাংওয়ে, হাতিয়া, মাস্টারহাট, দৌলতখাঁন ১০ নম্বর গ্যাংওয়ে, বোরহানউদ্দিন, পাতারহাট, ভোলা, ১১ নম্বর গ্যাংওয়ে, ভোলা লেতরা, ঘোষের হাট ১২ নম্বর গ্যাংওয়ে, রাঙ্গাবালী, টরকী ১৩ নম্বর গ্যাংওয়ে, সুরেশ্বর, ওয়াপদা, দুবলার চর বালাবাজারগামী লঞ্চ ১৩ নম্বর গ্যাংওয়ে, গ্রিন লাইন (ডে সার্ভিস), চাঁদপুরগামী লঞ্চ এবং বিআইডব্লিউটিসির রকেট স্টিমার লালকুঠি ঘাট থেকে ছেড়ে যাচ্ছে। 

পটুয়াখালী ও গলাচিপার লঞ্চ থাকবে, ওয়াইজ ঘাট থেকে ছেড়ে যাচ্ছে।বরিশালের লঞ্চ থাকবে ও ছেড়ে যাবে ১, ২ ও ৩ নম্বর গ্যাংওয়ে থেকে, হুলারহাট-ভান্ডারিয়াগামী লঞ্চ ৫ ও ৬ নম্বর গ্যাংওয়ে থেকে ছেড়ে যাচ্ছে। বরিশালের লঞ্চও ছেড়ে যাবে ১, ২ ও ৩ নম্বর গ্যাংওয়ে থেকে, হুলারহাট-ভান্ডারিয়াগামী লঞ্চ ৫ ও ৬ নম্বর গ্যাংওয়ে থেকে ছেড়ে যাচ্ছে।

সদরঘাটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নৌ-পুলিশের একাধিক দল নদীতে ও টার্মিনালে দায়িত্ব পালন করছেন। রয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ, র‌্যাব, কোস্টগার্ড ও আনসার সদস্যরা। মাঝ নদী থেকে যাত্রীরা যেন লঞ্চে উঠতে না পারে সেজন্য নৌ পুলিশ তৎপর রয়েছে।

এদিকে, লঞ্চের কেবিনের ভাড়া বাড়ানো নিয়ে অভিযোগ করেছেন অনেক যাত্রী। কর্ণফুলী লঞ্চের যাত্রী ফরিদ হোসেন বলেন, ঢাকা-ভোলা রুটে ডাবল কেবিন ভাড়া ২০০০ টাকা। আমি ৩৫০০ টাকায় কেবিনের টিকিট সংগ্রহ করেছি। ডেকের ভাড়া ২৫০ টাকার পরিবর্তে নেওয়া হচ্ছে ৩৫০। সংশ্লিষ্টদের কাছে অভিযোগ করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

পারাবাত-১১ লঞ্চের যাত্রী বোরহান উদ্দীন বলেন, ঢাকা-বরিশাল রুটে কেবিনটির টিকিটের মূল্য ২৫০০ টাকা। কিন্তু  গুনতে হয়েছে ৫০০০ টাকা। ডেকের ভাড়া ২০০ টাকার পরিবর্তে নেওয়া হচ্ছে ৩০০।

পারাবত লঞ্চের শহীদ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, গত এক মাস তেলের খরচও উঠছে না। গত ২৮ এপ্রিল থেকে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। ঢাকা-বরিশাল রুটে ২২টি লঞ্চের মধ্যে ৭টি ও ঢাকা-পটুয়াখালী রুটে ১১টির মধ্যে ৫টি লঞ্চ চলাচল করছে।   কারো কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। সরকার নির্ধারিত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, মনিটরিং ক্যাম্প ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে স্থাপন করা হয়েছে। এবার নতুন ভবনের ছাদে স্থাপন করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। এ টাওয়ারের মাধ্যমে আশপাশের এলাকা মনিটরিং করা হচ্ছে।। আজ লঞ্চের যাত্রী চাপ অন্যদিনের চেয়ে কম। লঞ্চে ঈদের দিনও যাত্রীর চাপ থাকে। লঞ্চগুলোকে নিয়ম মেনে চালানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেকোনো অভিযোগ পেলেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
 
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পন্টুনে অতিরিক্ত যাত্রী যেন যেতে না পারে এজন্য টার্মিনালগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা এবং বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। লঞ্চে মাঝনদী থেকে যাত্রী উঠতে না পারে সেজন্য নৌ পুলিশ টহল দিচ্ছে। কেউ অতিরিক্ত যাত্রী নিলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এএএম/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়