ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

বিদ্যুৎ ব্যবস্থা উন্নয়নে ৭ সাবস্টেশন হচ্ছে কুমিল্লায়

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৩১, ২৩ মে ২০২২   আপডেট: ০৮:৩৩, ২৩ মে ২০২২
বিদ্যুৎ ব্যবস্থা উন্নয়নে ৭ সাবস্টেশন হচ্ছে কুমিল্লায়

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বাবিউবো) এর বাস্তবায়নাধীন ‘বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প কুমিল্লা জোন’ শীর্ষক প্রতল্পের আওতায় সাতটি সাবস্টেশন স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রকল্পে ব্যয় হবে ১৬০কোটি ৬৫ লাখ ৩৪ হাজার ৯৩১ টাকা।

সূত্র জানিয়েছে, এসব সাবস্টেশনগুলোর মধ্যে একটি নতুন ৩৩/১১ কেভি এআইএস সাবস্টেশনসহ তিনটি ৩৩/১১ কেভি এআইএস সাবস্টেশন মানোন্নয়ন এবং তিনটি ৩৩/১ কেভি এআইএস থেকে ৩৩/১১ কেভি জিআইএস সাবস্টেশন মানোন্নয়ন করা হবে।

বাবিউবো’র আওতাধীন প্রকল্পের আওতায় কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে জিওবি ও সংস্থার নিজস্ব তহবিলের সমন্বয়ে ১৫২১ কোটি ৭৬ লাখ টাকার ওই প্রকল্পটি ২০১ সালের ২৩ জানুয়ারি একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। প্রকল্পের মেয়াদকাল ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত নির্ধারিত রয়েছে। প্রকল্পের অনুমোদিত ডিপিপিতে ৮৮টি প্যাকেজ রয়েছে। এরমধ্যে একটি প্যাকেজের আওতায় ৩৩টি ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র নির্মাণ  ও মানোন্নয়নসহ ৩টি বে-এক্সটেনশন কাজের সংস্থান রয়েছে। এ ধরনের কাজ একসঙ্গে সম্পন্ন করা কঠিন হওয়ায় কাজের ধরন অনুযায়ী ওই প্যাকেজের ৪টি লটে বিভক্ত করে বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।

ডিপিপি অনুযায়ী ওই প্যাকেজের মোট মূল্য ৪৬৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। আলোচ্য প্যাকেজের আওতায় লট-৪ এর ক্রয়কাজ সম্পন্ন করা লক্ষ্যে বিউবো থেকে ১৩৫ কোটি ৯০ লাখ টাকার দাপ্তরিক প্রাক্কলন প্রস্তুত করা হয়েছে। ক্রয় কাজের ব্যয় চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় বরাদ্দকৃত ১২১ কোটি টাকা থেকে নির্বাহ করা হবে।

সূত্র জানায়, আলোচ্য প্যাকেজের আওতায় লট-১ এর আওতায় পাঁচটি নতুন সাবস্টেশন স্থাপন, চারটি সাবস্টেশনের মানোন্নয়ন ও একটির সম্প্রসারণ কাজের ক্রয় প্রস্তাব গত ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তারিখে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় অনুমোদিত হয়। পরবর্তীতে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে মালামালের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ঠিকাদার অতিরিক্ত অর্থ দাবি করে যা বিউবো’র কাছে গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়নি। এজন্য ঠিকাদার মামলা করে। মামরা চলমান থাকায় লট-১ এর বর্ণিত উপকেন্দ্রগুলো স্থাপনের কাজ বন্ধ রয়েছে। লট-২ এর আওতায় ৬টি নতুন ৩৩/১১ কেভি এআইএস উপকেন্দ্র, ২টি নতুন জিআইএস উপকেন্দ্র নির্মাণ এবং ২টি বে-এক্সটেনশনের কাজ সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের পর সর্বনিম্ন দরদাতাকে এনওএ দেওয়া সত্বেও ঠিকাদারের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পারফরম্যান্স গ্যারান্টি জমা না দেওয়ায় সিকিউরিটি ডিপোজিট বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং আবার ২০২২ সালের ২ জানুয়ারি তারিখে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে, এ ক্ষেত্রে কারিগরি মূল্যায়ন চলমান রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, লট-৩ এর আওতায় ৮টি ৩৩/১১ কেভি বিদ্যমান এআইএস উপকেন্দ্রকে আপ-গ্রেডেশন কাজটি সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের পর গত ২০২১ সালের ১ এপ্রিল তারিখে চুক্তি স্বাক্ষর হয় এবং বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে কাজ চলছে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে চারটি দরপত্রের মধ্যে একটি নন-রেসপন্সিভ হয় এবং ৩টি রেসপন্সিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে এলইইইসি-অ্যাডেক্স জেভি কে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে  ঘোষণা দিয়ে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি গত ৮ ফেব্রুয়ারি আর্থিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন দাখিল করে।

সর্বনিম্ন দরদাতা এলইইইসি-অ্যাডেক্স জেভি ১৬০কোটি ৬৫ লাখ ৩৪ হাজার ৯৩১ টাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।

ঢাকা/হাসনাত/ইভা 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়