‘শেখ হাসিনা সরকারের আমলে পাহাড়ে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে’

পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন, পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তুলতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সংস্কৃতির মাঝে ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছেন। পাহাড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার সাপছড়ি এলাকার ওয়াগ্গা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থা আয়োজিত সপ্তম মহাসম্মেলন ও ষষ্ঠ কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাহাড়ের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায় সবদিকেই অনেক দূর এগিয়েছে। আধুনিক সমাজেও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায় তাদের কৃষ্টি- কালচার এবং ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। এটি প্রশংসার দাবিদার।

কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রামের সংরক্ষিত আসনে রাঙামাটির জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যাকে সংসদ সদস্য করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই উপহার পার্বত্য অঞ্চলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সহাবস্থানকে আরো গতিশীল করবে। 

প্রতিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নবনিযুক্ত সংসদ সদস্যের নেতৃত্বে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

এর আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও রঙিন বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থার আহ্বায়ক ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য দীপ্তিময় তালুকদার। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাজিব কুমার তঞ্চঙ্গ্যা। 

সম্মেলনের প্রথম পর্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সদস্য খোকনেশ্বর ত্রিপুরা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য অংসুই ছাইন চৌধুরী, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হক প্রমুখ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থার সদস্য সচিব উজ্জ্বল তঞ্চঙ্গ্যা।

সম্মেলন এর দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থার শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করা হয়।