ঢাকা     শনিবার   ০৪ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২১ ১৪৩১

তৃতীয় দেশ হিসেবে কাতারের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি করছে বাংলাদেশ

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:১৭, ২০ এপ্রিল ২০২৪   আপডেট: ২০:২৩, ২০ এপ্রিল ২০২৪
তৃতীয় দেশ হিসেবে কাতারের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি করছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ও থাইল্যান্ডের বন্দি বিনিময় চুক্তি রয়েছে। এবার তৃতীয় দেশ হিসেবে কাতারের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির ঢাকা সফরে এই চুক্তির প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে। 

চুক্তির ফলে দুই দেশ সাজাপ্রাপ্ত বন্দি আসামিকে হস্তান্তর করতে পারে। কাতারের প্রায় শতাধিক বাংলাদেশি নাগরিক বিভিন্ন কারাগারে বন্দি রয়েছেন। চুক্তির পর তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবে বাংলাদেশ।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি সোমবার (২২ এপ্রিল) দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন। কাতারের আমিরের সফরকালে বন্দি বিনিময় চুক্তিসহ দুই দেশের মধ্যে ১০টি চুক্তি ও সমঝোতা সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুর ১টায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ কাতারের আমিরের ঢাকা সফর নিয়ে বিস্তারিত জানাবেন বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, কাতারের আমিরের সফরে ৪টি চুক্তি ও ৬টি সমঝোতা সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যে ৪টি চুক্তির প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো—বন্দি বিনিময়, বাণিজ্য-বিনিয়োগ, দ্বৈত কর প্রত্যাহার ও শুল্ক সুবিধা দেওয়ার জন্য সহযোগিতা।

পড়ুন- ঢাকায় নিজ নামের সড়ক ও পার্ক উদ্বোধন করবেন কাতারের আমির

৬টি সমঝোতা সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো—কাতারে জনশক্তি রপ্তানি, বন্দর ব্যবস্থাপনা সহযোগিতা, ধর্মীয় সহযোগিতা, উভয় দেশের   কূটনীতিকদের প্রশিক্ষণ ও উচ্চশিক্ষা সহযোগিতা।

মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশি কর্মীদের অন্যতম প্রধান গন্তব্য কাতার। দেশটিতে প্রায় ৩ লাখ কর্মী রয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে কীভাবে আরও জনশক্তি কাতারে পাঠানো যায়, দেশটির আমিরের সঙ্গে তা নিয়ে আলোচনায় প্রাধান্য পাবে। কাতারের আমিরের সফরকালে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

কাতারের আমিরের ঢাকা সফরের মধ্যে দিয়ে দুই দেশের সম্পর্কে ইতিবাচক অবদান রাখবে বলে প্রত্যাশা করেছেন কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম। তিনি জানিয়েছেন, কাতারের আমিরের সফরে দুই দেশের মধ্যে যে সম্পর্ক আছে, তা আরও শক্তিশালী হবে। এই সফর সুদূরপ্রসারী অবদান রাখবে।

২০০৫ সালে কাতারের তখনকার আমির হামাদ বিন খলিফা আল থানি বাংলাদেশে এসেছিলেন। প্রায় বিশ বছর পর বর্তমান আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বাংলাদেশে আসছেন।

এদিকে, কাতারের আমির এমন এক সময়ে বাংলাদেশে আসছেন, যখন ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে নতুন করে সংঘাত শুরু হয়েছে। কাতারের আমিরের সফরে ফিলিস্তিন ইস্যু ও ইরান-ইসরায়েল সংকট নিয়ে আলোচনা হবে। বাংলাদেশ বরাবরই ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের সংকট নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান কাতারের কাছে তুলে ধরা হবে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুও আলোচনায় স্থান পাবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।

/এনএইচ/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়