ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, প্রশাসনের ভূমিকা প্রশংসনীয়: সিইসি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:২৭, ৯ জুন ২০২৪   আপডেট: ২০:৩১, ৯ জুন ২০২৪
নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, প্রশাসনের ভূমিকা প্রশংসনীয়: সিইসি

ছবি: সংগৃহীত

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। প্রশাসন, পুলিশের যে ভূমিকা তা প্রশংসনীয়। আমাদের নির্দেশনা তারা কঠোরভাবে প্রতিপালন করেছেন৷’

রোববার (৯ জুন) ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পঞ্চম ধাপের ভোট গ্রহণ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘চারটি ধাপে উপজেলা নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে আরেকটি ধাপ বেড়ে়ছে। আজ পঞ্চম ধাপে ১৯টি উপজেলায় নির্বাচন হলো। ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে আজ পর্যন্ত ৪৬৯টিতে নির্বাচন সম্পন্ন করলাম।’

তিনি বলেন, ‘এবার প্রতিটি জেলায় তিনটি বা চারটি ধাপে হয়েছে। এজন্য প্রশাসনে কর্মকর্তাদের জন্য সহজ হয়েছে। স্বস্তিদায়কও হয়েছে। ২৬টি উপজেলা নির্বাচন বাকি আছে। এর মধ্যে কয়েকটি এখনো মেয়াদপূর্তি হয়নি। কয়েকটি আদালতে নির্দেশনার কারণে স্থগিত রেখেছি৷ যথা সময়ে ওগুলো আমরা করবো। তবে উপজেলা নির্বাচন মোটামুটি শেষ হয়েছে। ১১৮০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২৩৫টি ভোটকেন্দ্রের হিসাব পেয়েছি৷ সেদিক থেকে ভোট পড়েছে ৪৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। কাজেই নিশ্চিত করে বলা যাবে না কত ভোট পড়েছে।’

সিইসি বলেন, ‘আজ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ এর মধ্যে দুইজন পোলিং অফিসার নির্বাচনি অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন। এই দিক থেকে আমরা কঠোর ছিলাম। মোট চারজন আহত হয়েছেন। দু'জন গুরুতর হয়েছেন। সেখানে মোটামুটি বলা যায় কোপাকুপি হয়েছে। খুব যে গুরুতর ওরকম কিছু নয়। আজকে ভোটার ছিল ৩০ লাখ ৪৬ হাজার। ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিছু কিছু অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেই থাকে। অর্থের লেনদেন হয়ে থাকে। অনৈতিকভাবে অর্থের লেনদেনের খবরও আমরা পেয়ে থাকি। এগুলো বাস্তবতা। এগুলো উত্তরণের চেষ্টা আমরা পরিশেষে আমরা আলাপ-আলোচনা করে কীভাবে ঠিক করা যায় তা ঠিক করবো। তবে সার্বিকভাবে আমার মনে নির্বাচনটা শান্তিপূর্ণ হযেছে। প্রশাসন, পুলিশের যে ভূমিকা তা প্রশংসনীয়। আমাদের নির্দেশনা তারা কঠোরভাবে প্রতিপালন করছেন৷ রাজনৈতিক সদিচ্ছাও ছিল খুব ইতিবাচক। তবে এবার নির্বাচনে রাজনৈতিকভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল, দেখা গেছে দুই একটি দল ছাড়া ওরা রাজনৈতিক প্রতীকে অংশগ্রহণ করেনি। যার ফলে নির্বাচনটা আগের মতো স্থানীয়ভাবে ব্যক্তিভিত্তিক হয়েছে। যদিও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা অংশগ্রহণ করেছেন, তবে রাজনৈতিক পরিচয়ে নয়।’

ভোটার উপস্থিতি কম নিয়ে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে তো ব্যাপক অংশগ্রহণ হয়নি। যখন রাজনৈতিকভাবে ব্যাপক অংশগ্রহণ হয়, তখন ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা বেড়ে যায়। স্বাভাবিকভাবে সেদিক থেকে এটি একটি কারণ হয়ে থাকতে পারে। আর ভোটারদেরকে কেন্দ্রে আনার দায়িত্ব হচ্ছে প্রার্থীর। প্রার্থীরা তাদের কাছে আবেদন জানাতে পারে। এতে ভোটারা কতটুকু সাড়া দেবে, এটা তাদের ওপর নির্ভর করে। তারা রাজনৈতিকভাবে সচেতন। তারা সেটা বিবেচনা করতে পারে৷ তবে আমাদের জন্য সেটা বিবেচ্য নয়। আমাদের জন্য বিবেচ্য হচ্ছে ভোটটা যেন শান্তিপূর্ণভাবে, সুষ্ঠুভাবে হয় এবং ভোটার যারা তারা যেন শান্তিপূর্ণভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে৷ এখন যদি তারা ওখানে জোর করে ভোট দিয়ে থাকে তাহলে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে না। সেই দিকটা আমরা বিশেষ করে জোর দিয়েছি। কোনো কিছুই স্থির থাকে না৷ আশাকরি এটা ইম্প্রুভ হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা সন্তুষ্টি, অসন্তুষ্টির বিষয় না৷ চট করে বলতে পারবো না৷ আমরা হতাহতের খবর পাইনি। ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি এমনটা হয়নি। সেদিক থেকে এটা ইতিবাচক। সেই দিক থেকে আমরা সন্তুষ্ট বোধ করছি। ভোটার পড়ার সংখ্যা ৬০ শতাংশ, ৭০ শতাংশ হতো তাহলে আপনাদের মতো আমরাও সন্তুষ্ট হতাশ। আশাকরি মানুষ আগামীতে আরো সচেতন হবে এবং সুশাসনের বিষয় নিয়ে আমাদের জনগণকে উপলব্ধি করাতে হবে। ভোটাররাও হয়তো উপলব্ধি করে ভোটমুখী হবেন।

হাসান/সনি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়