জিয়াউর রহমান বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন: কাদের
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশাল সদস্য হয়েছিলেন।
শনিবার (১৮ মে) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাকশাল কোনো এক দল নয়, এটা ছিল জাতীয় দল। বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্যে করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এর কি জবাব দেবেন? এর আগেও এটা দু-একবার বলেছি কিন্তু জবাব পাইনি। অহেতুক ঘাটাঘাটি করলে আপনাদের চেহারাই উন্মোচিত হবে।
এ সময় বিএনপির ভারতবিরোধী অবস্থান নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমে দেখলাম বিএনপি ভারত বিরোধিতার বিষয় পুনর্বিবেচনা করে দেখবে। বিরোধিতা না করে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা যায় কি না। তাদের সামনে কোনো ইস্যু নেই, তারা আছে, এটা বোঝানোর জন্য কিছু একটা সামনে আনে। শেষ পর্যন্ত গণঅভ্যুত্থান থেকে লিফলেট বিতরণে তাদের আসতে হলো।
বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ঘাটতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণতন্ত্রের ঘাটতিটা কোথায়? কি কি কারণে ঘাটতি? বাংলাদেশ বাংলাদেশের মতোই চলবে। বাংলাদেশে একটা নির্বাচন হয়েছে, বিএনপি সে নির্বাচনে নেই, সেটা অনেকেরই আজকে মেনে নেওয়া কঠিন। নির্বাচনে যে বাস্তবতা, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। ভোটার টার্ন আউট ৪২ শতাংশের বেশি। সংসদে বিরোধী দল সমালোচনা করছে, তাদের মুখ আমরা বন্ধ করিনি। সংসদের বাইরে যারা বিরোধী আছে, বিএনপি যখন যা কিছু ফ্রি স্টাইলে বক্তব্য দিচ্ছে, সভা সমাবেশ করছে। ২৮ অক্টোবর তারা যা করে গেছে। নির্বাচন বয়কটের পর তাদের ওপর দমনপীড়ন, সেটা তো হয়নি।
তিনি বলেন, আজকে অনেক দেশে গণতন্ত্রের দাবি আছে। বিশ্বের বিভিন্ন নামি-দামি দেশে। বিশ্বে মানবাধিকারের তারা প্রবক্তা, গণতন্ত্রের প্রবক্তা। কলম্বিয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের আন্দোলন দমন করতে গিয়ে কীভাবে মেরে হাত-পা বেঁধে আটক করা হয়েছে। একজন প্রফেসরও এই নির্মমতার শিকার হয়েছেন। এক শিক্ষার্থী গণমাধ্যমে বলেছেন, তাদের ওপর কেমিক্যাল স্প্রে করা হয়েছে। এ কারণে অনেক ছাত্র-ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল, তাদের হাসপাতালে নিতে হয়েছে। আওয়ামী লীগ তো বিএনপির সঙ্গে এমন আচরণ করেনি। বিএনপি যখন যেখানে সভা সমাবেশ করতে চেয়েছে করেছে। সরকার তো কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। তাহলে গণতন্ত্রের ঘাটতিটা কোথায়? আমি যদি বলি আমরা অনেক দেশের তুলনায় গণতন্ত্রে সারপ্লাস আছি।
র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রশ্নে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তিনি ডিনারের পর সাংবাদিকদের সামনে এ নিয়ে যে বক্তব্য রেখেছেন, সে বক্তব্য যথাযথভাবে প্রকাশিত হয়েছে কি না তার সঙ্গে আলাপ করলে বুঝতে পারব। তিনি হয়তো মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করতে পারেন এটা তুলে নিতে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার প্রশ্নে নিজের মতামত তুলে ধরেন মন্ত্রী। জানতে চান, পৃথিবীর কোন দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংকে অবাধে ঢুকতে পারে? ভারতের ফেডারেল ব্যাংকে পারে? সব ওয়েবসাইটে আছে। আপনার জানার বিষয়, আপনি ভেতরে ঢুকবেন কেন?
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
পারভেজ/কেআই