ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

সাহিবজাদার বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে ইসলামাবাদের টানা দ্বিতীয় জয়

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪৭, ১৫ এপ্রিল ২০২৫   আপডেট: ১২:২৯, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
সাহিবজাদার বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে ইসলামাবাদের টানা দ্বিতীয় জয়

সাহিবজাদা ফারহানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ভর করে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে পিএসএলে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) তাদের প্রতিপক্ষ ছিল পেশোয়ার জালমি, যারা আবার টানা দুই ম্যাচ হারল।

সোমবার রাতে টস জিতে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন-আপের ইসলামাবাদ।নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২৪৩ রানের বিশাল পুঁজি পায় সাদাব খানের দল। পাহাড়সম পুঁজি তাড়া করতে নেমে ১৮.২ ওভার পর্যন্ত খেলতে পারে বাবর আজমের দল। মোহাম্মদ হারিসের ৪৭ বলে ৮৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস সত্ত্বেও দলীয় ১৪১ রানে থামে পেশোয়ার। তারা কুড়ি ওভারের ম্যাচ হারে ১০২ রানের বিশাল ব্যবধানে।

টস জিতে ব্যাট করতে নামা ইসলামাবাদ শুরু থেকেই ব্যাটিংস্বর্গ উইকেট পায়। আলজারি জোসেফ প্রথম ওভারে মাত্র ৩ রান দেন। দ্বিতীয় ওভারে যুক্তরাষ্ট্রের আন্দ্রিস গাউস রানআউট হয়ে যান। তবে অন্যপ্রান্তে ফারহান রানবন্যা শুরু করেন। অনূর্ধ্ব-১৯ পেসার আলি রাজার এক ওভারেই ফারহান তুলে নেন ২২ রান। পাওয়ারপ্লেতে আসে ৭৩ রান।

পেশোয়ারের সেরা বোলার সুফিয়ান মুকীম ৯ম ওভারে ১৬ রান দেন, আর তাঁর ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভারে দেন আরও ১৬ রান। এই সময়ে তিন নম্বরে নামা কলিন মুনরোও আক্রমণাত্মক হতে শুরু করেন। এরই মাঝে ফারহান ৪৯ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি ১৩ বল ও ৫ ছক্কায় ৫২ বলে ১০৬ রানের বিস্ফোরোক ইনিংস খেলেন। অন্যদিকে মুনরো ৬ চার ও ১ ছক্কায় ২৭ বলে ৪০ রান করেন। যদিও জোসেফ ফিরে এসে চার বলের ব্যবধানে দুজনকেই ফেরান।

ততক্ষণে ইউনাইটেডের স্কোর দাঁড়িয়ে যায় ১৬৩, হাতে তখনো ছয় ওভার বাকি। এরপর আজম খান, সালমান আলি, জেসন হোল্ডার এবং বেন ডোয়ারশুইসের ছোট কিন্তু কার্যকর ইনিংস খেলে শেষ ছয় ওভারে যোগ করেন ৮০ রান।

বিশাল লক্ষ্য তাড়া করা বাবর আজমের মতো ব্যাটসম্যানদের জন্য আদর্শ নয়। পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক তৃতীয় বলেই স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যাওয়াতে তেমন কোনো চমকও ছিল না।এরপর মিচেল ওয়েন এবং সাইম আইয়ুবও দ্রুত ফিরলে পেশোয়ার পড়ে যায় গভীর সংকটে। চতুর্থ ওভার শেষ হতেই স্কোর দাঁড়ায় ৩ উইকেট হারিয়ে ২৬। আস্কিং রানরেট পৌঁছে যায় ১৪ এর কাছাকাছি।

হারিস যতই চেষ্টা করুক, একক প্রচেষ্টায় ম্যাচ বাঁচানো অসম্ভব ছিল। সাম্প্রতিক টি-টোয়েন্টিতে তার ফর্ম নিয়ে পেশোয়ার ও পাকিস্তান- উভয় পক্ষই উদ্বিগ্ন ছিল। তবে এই ইনিংসে তিনি ছিলেন দুর্দান্ত। ডোয়ারশুইসকে চার ও ছয় মারেন, হোল্ডারের এক ওভারে পরপর দুটি ছয় মারেন পাওয়ারপ্লে’র পর। তবে হারিসকে সঙ্গ দেওয়ার কেউ ছিলেন না। ইমাদ ওয়াসিম তার চিরচেনা লাইন-লেংথে বল করে নবম ওভারে ফেরান টম কোহলার ও ক্যাডমোরকে। এরপর হারিস একদিকে নিয়মিত রান পাচ্ছিলেন অন্যদিকে তাসের ঘরের মতো বাকি ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে পড়ছিল।

ছন্দ বেশি দূর টেনে নিয়ে যেতে পারেননি হারিস। ইমাদ ওয়াসিমকে মারতে গিয়ে লং অনেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। পেশোয়ারের নবম উইকেটের পতন হয় তাতে। দুই ওভার পর ডোয়ারশুইস মোহাম্মদ আলিকে বোল্ড করে ম্যাচ শেষ করেন। ওয়াসিম ২৬ রানে ৩ উইকেট নেন।

দুই ম্যাচে শতভাগ জয়ে পিএসএলের টেবিলের শীর্ষে এখন ইসলামাবাদ।

ঢাকা/নাভিদ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়