শেরপুরে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে হামলা, আহত ১০
শেরপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
শেরপুরের নকলা উপজেলার চরঅষ্টধর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে হামলা হয়েছে। শনিবার (১৮ মার্চ) বেলা আড়াইটার দিকে নারায়ণখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সম্মেলনে হামলা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছানুয়ার হোসেন ছানু।
সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করার পর প্রতিদ্বন্দ্বী সভাপতি প্রার্থীর লোকজন অতর্কিতে এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আম্বিয়া খাতুনসহ কমপক্ষে ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়।
নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ হামলার ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, চরঅষ্টধর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শনিবার সকাল ১১টায় শুরু হয়। আলোচনা শেষে বেলা আড়াইটার দিকে চরঅষ্টধর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নয়া সভাপতি হিসেবে শামসুজ্জামান ডেবিট ও সাধারণ সম্পাদক পদে সিয়ামুল বাদশাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সভাপতি হিসেবে শামসুজ্জামান ডেবিটের নাম ঘোষণা করার কারণে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানীর ভাতিজা গোলাম সারোয়ারের লোকজনেরা সমাবেশ স্থলে অতর্কিতভাবে হামলা করে। তাদের হামলা ও মঞ্চে বসা নেতাদের দিকে চেয়ার ছুড়ে মারার কারণে নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আম্বিয়া খাতুনসহ কমপক্ষে ১০ জন নেতা কর্মী আহত হয়। এ সময় হামলার ঘটনায় সম্মেলনে স্থলে থাকা শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছানুয়ার হোসেন ছানুর গাড়িটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নকলা থানা পুলিশ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ হামলার সঙ্গে জড়িত নন দাবি করে বলেন, ‘ওয়ার্ড পর্যায়ে নেতাকর্মীদের মতামত নিয়ে ইউনিয়ন কমিটির সভাপতির নাম ঘোষণা করার কথা থাকলেও তা না করে রুদ্ধদ্বার কক্ষে বৈঠক করে সভাপতি পদে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত বিতর্কিত শামসুজ্জামান ডেবিটের নাম ঘোষণা করা হয়। এতে হাউজ উত্তেজিত হয়ে চেয়ার ছুড়াছুড়ি ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় আমাকে এবং আমার স্বজনদের জড়িয়ে অনর্থক মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। বরং আমি সেখানে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি।’
এ হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আইনগত ও সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ।
এ ব্যাপারে নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ বলেন, ‘এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখন পর্যন্ত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তারিকুল/বকুল