ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

শান্তর বীরোচিত ইনিংসে আবাহনীর জয়

আমিনুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২৯, ১৮ মার্চ ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শান্তর বীরোচিত ইনিংসে আবাহনীর জয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক : ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের লিগ পর্যায়ের শেষ ম্যাচে জয় পেয়েছে আবাহনী লিমিটেড। ৫৬ রানে হারিয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে। এই জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকেই শেষ ছয় নিশ্চিত করেছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।

আজ রোববার ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আবাহনী প্রথমে ব্যাট করতে নামে। নাজমুল হোসেন শান্তর অপরাজিত ১৫০ ও সাইফ হাসানের ৯৪ রানে ভর করে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৩৫ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ফারদিন হাসান অনির সেঞ্চুরি, সাদমান ইসলামের ৫৬ ও তৌহিদ হৃদয়ের ৮৩ রানে ভর করে দুর্দান্ত সূচনার পরও জয় পায়নি শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। ৫০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৭৯ বেশি করতে পারেনি তারা।



রোববার ফতুল্লায় আবাহনী টস হেরে ব্যাট করতে নামে। দলীয় ৩০ রানেই মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বলে আফিফ হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন এনামুল হক বিজয় (১৮)। দ্বিতীয় উইকেটে ঘুরে দাঁড়ায় আবাহনী। নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাইফ হাসান ১৮৫ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ২১৫ রানের মাথায় সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৬ রান দূরে থেকে নাঈম ইসলামের বলে আউট হন সাইফ হাসান। ১১৪ বল খেলে ৭টি চার ও ৪ ছক্কায় ৯৪ রান করে যান তিনি। তবে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শান্ত।



তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক নাসির হোসেনকে নিয়ে দলীয় সংগ্রহে আরো ৬০ রান যোগ করেন। ২৭৫ রানের মাথায় নাসির হোসেনকে ফিরিয়ে দ্বিতীয় উইকেট শিকার করেন নাঈম। ২৪ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৫ রান করেন নাসির। এরপর আরো দুইজনকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় সংগ্রহকে ৫০ ওভারে ৩৩৫ রান পর্যন্ত নিয়ে যান শান্ত। তিনি অপরাজিত থাকেন ১৫০ রানে। যা ১২০ বল খেলে ৯টি চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় করেন তিনি। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে এটা তার চতুর্থ সেঞ্চুরি এবং ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।

৩৩৬ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত সূচনা পায় শাইনপুকুর। ফারদিন হাসান অনি ও সাদমান ইসলাম উদ্বোধনী জুটিতে ১২৫ রান তোলেন। এরপর ব্যক্তিগত ৫৬ রানে নাসির হোসেনের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন সাদমান। দ্বিতীয় উইকেটে অনি ও তৌহিদ হৃদয় দলীয় সংগ্রহকে টেনে নেন ২৬৯ পর্যন্ত। এর মধ্যে সেঞ্চুরি করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরে আসেন ফারদিন হাসান। ১১৮ বল খেলে ৯টি চার ও ২ ছক্কায় ১০৪ রান করেন তিনি। এরপর তৌহিদ হৃদয়ও আউট হয়ে যান মাশরাফির বলে। হৃদয় ৭২ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৮৩ রান করেন। এই দুইজন ফেরার পর খুব বেশি রান যোগ করতে পারেনি শাইনপুকুর। ২৭৭ রানের মাথায় আফিফ হোসেন আউট হওয়ার পর ৫০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৭৯ রানে থামে শাইনপুকুরের ইনিংস। 



শাইনপুকুরের যে ৩টি উইকেটের পতন ঘটেছে বল হাতে তার ২টি নিয়েছেন আবাহনীর মাশরাফি বিন মুর্তজা। অপরটি নিয়েছেন নাসির হোসেন। ১৫০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন নাজমুল হোসেন শান্ত।

এই জয়ের ফলে ১১ ম্যাচের ৮টিতে জিতে ৩টিতে হেরে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে লিগ পর্ব শেষ করল আবাহনী। মঙ্গলবার লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ যদি বিশাল ব্যবধানে জয় পায় তাহলে হয়তো আবাহনীকে ছুঁতে পারবে পয়েন্টের দিক দিয়ে। তবে পেছনে ফেলতে হলে আরো হিসাব-নিকাশ থাকবে।

সমান ম্যাচ থেকে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শাইনপুকুর রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে। তাদের সুপার সিক্সে যাওয়ার সম্ভাবনা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আগামীকাল শেষ ম্যাচে শেখ জামাল যদি হেরে যায় তাহলে শাইনপুকুরও সুপার সিক্সে যাবে। জিতে গেলে যাওয়া হবে না তাদের।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ মার্চ ২০১৮/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়