ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

জঙ্গিবাদের আড়ালে শিক্ষকতা

মাকসুদুর রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩১, ৩ অক্টোবর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জঙ্গিবাদের আড়ালে শিক্ষকতা

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুরান ঢাকার চকবাজার থেকে নব্য জেএমবি ‘সারোয়ার-তামিম গ্রুপ’-এর সক্রিয় নারী সদস্য সাদিয়া আমিনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তিনি একটি কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষকতা করেন।

মঙ্গলবার র‌্যাব থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

র‌্যাব জানায়, গোপন সংবাদে সোমবার রাতে চকবাজার থানার শোয়ারীঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাদিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সাদিয়া র‌্যাবকে জানায়, ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী আবু আতার ওরফে নওরোজ রাইয়্যাত আমিনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আবু আতার ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করলেও পরবর্তী সময়ে ১৯৯৫ সালে সপরিবারে অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। বিয়ের পর ২০১৪ ও ২০১৫ সালে আবু আতার দুই দফায় ছয় মাস বাংলাদেশে অবস্থান করেন। বিয়ের আগে থেকেই আতার উগ্রবাদী মতাদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন। ২০১৫ সালে আতারের সঙ্গে উগ্রবাদী মতাদর্শে বিশ্বাসী এক যুবকের পরিচয় হয় এবং ওই যুবক তাকে জঙ্গিনেতা ইমাম মেহেদী হাসানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে আতার স্ত্রী সাদিয়াকে জঙ্গিবাদী মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ করে তোলে এবং ইমাম মেহেদী হাসানের মাধ্যমে জেএমবিতে যোগদান করেন। ইমাম মেহেদী হাসানের সঙ্গে গোপন অ্যাপস টেলিগ্রাম, থ্রিমার-এর মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করতেন সাদিয়া। আতার বিভিন্ন সময় সাদিয়ার মাধ্যমে ইমাম মেহেদী হাসানকে ইয়ানত (অর্থ) দিয়েছে। কিছুদিন আগে ইমাম অস্ত্র সংগ্রহের জন্য সাদিয়ার মাধ্যমে আতারের কাছে ৭ লাখ টাকা চায়। সাদিয়া মেহেদী হাসান ইমামকে ১ লাখ টাকা দেন। সাদিয়া ২০১৫ সালে ম্যাপল লিফ থেকে ‘ও লেভেল’ উত্তীর্ণ হন। বর্তমানে তিনি পুরান ঢাকার একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত। সাদিয়া বিভিন্ন সময় ইমাম মেহেদী হাসানকে জঙ্গিবাদী আর্টিকেল ও আইইডি (ইম্প্রোভাইজড অ্যাক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) তৈরির বিভিন্ন কৌশল ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করে দিতেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩ অক্টোবর ২০১৭/মাকসুদ/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়