ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা: ভাতিজার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:১১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪  
বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা: ভাতিজার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

তিন বছর আগে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জের পশ্চিম রোহিতপুর এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আলীকে হত্যার দায়ে ভাতিজা ঠান্ডুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার ৮ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মিনহাজুল মনিরার আদালত এ রায় দেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ঠান্ডুকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে জেলিনা আক্তার মৌকে গুরুতর আঘাতের দায়ে তাকে আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও এক মাস কারাভোগ করতে হবে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী কামরুজ্জামান (জসি) এ তথ্য জানান।

রায় ঘোষণার আগে ঠান্ডুকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

জানা যায়, ঠান্ডুর বাবা মারা যাওয়ার পর সে তার সম্পত্তি চাচা মোজাফফর আলীর কাছে বিক্রি করে অন্যত্র চলে যাই। মাঝে মধ্যে ঠান্ডু তার চাচার কাছে এসে খরচের টাকা দাবি করে নিয়ে যেত। ২০২১ সালের ১৫ জুলাই সে তার চাচার কাছে ৫০০ টাকা চায়। মোজাফফর আলী তাকে ২০০ টাকা দিয়ে বলেন আর নাই। তিনি বাড়ির সামনে টিউবওয়েলে গোছল করতে যান। ঠান্ডু অতর্কিতভাবে সেখানে গিয়ে চাচার পেটে চাকু ঢুকিয়ে দেয়। এসময় তার বড় মেয়ে জেলিনা আক্তার বাবাকে বাঁচাকে গেলে তাকেও আহত করে ঠান্ডু। দুইজনকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোজাফফর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পরদিন মোজাফফর আলীর স্ত্রী নার্গিস বেগম মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ঠান্ডুকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর মাহাবুবুর রহমান হামিদ। এরপর তার বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

ঢাকা/মামুন/এনএইচ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়