ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

রনির ৫ উইকেট, সাদিকুর-জসিমের ফিফটি

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২৩, ২১ ডিসেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রনির ৫ উইকেট, সাদিকুর-জসিমের ফিফটি

সিলেট ও চট্টগ্রামের ম্যাচের একটি দৃশ্য (ছবি : জনি সোম)

ক্রীড়া প্রতিবেদক, সিলেট থেকে : ওয়ালটন আইওটি স্মার্ট ফ্রিজ ১৯তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের শেষ রাউন্ডে শক্ত অবস্থানে চট্টগ্রাম বিভাগ। সিলেট বিভাগের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের লিড ২৫৬ রান।

প্রথম ইনিংসে ২১৫ রানে চট্টগ্রাম অলআউট হলেও বোলাররা দলকে এগিয়ে নেন। বল হাতে চট্টগ্রামকে নেতৃত্ব নেন ইফতেখার সাজ্জাদ রনি। ৫ উইকেট নেন ডানহাতি এ স্পিনার। তার ঘূর্ণিতে ঘরের মাঠে সিলেট গুটিয়ে যায় মাত্র ১৩৭ রানে। ৭৮ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে বৃহস্পতিবার দিন শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রামের রান ৫ উইকেটে ১৭৮।

৭৮ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে চট্টগ্রামকে দারুণ শুরু এনে দেন সাদিকুর রহমান ও জসিম উদ্দিন। ৯২ রানের জুটি গড়েন তারা। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও দূর্দান্ত শুরু করেন সাদিকুর। এবারও নজরকাড়া কয়েকটি শটে বাউন্ডারি তুলে নেন খুব সহজেই। প্রথম ইনিংসে ৪ রানের আক্ষেপে পুড়লেও এবার ভুল করেননি। ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নেন ৫৩ বলে। ফিফটি তুলে নিলেও বেশিক্ষণ মনোযোগ রাখতে পারেননি।


                   চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ম্যাচের একটি দৃশ্য (ছবি : জনি সোম)

চা-বিরতির ঠিক আগের ওভারে রাহীর বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দেন ৫৪ রানে। রাহীরআগের ওভারে শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে ৫১ রানে টপ এজে ক্যাচ দিয়েছিলেন, কিন্তু এনামুলের হাত ফসকে বেরিয়ে যায় বল। দ্বিতীয় জীবনে ইনিংসটা বড় করতে পারেননি সাদিকুর। তবে দুই ইনিংসে দ্যুতি ছড়িয়ে বড় অবদান রাখেন বাঁহাতি এ ওপেনার।

তিনে নেমে স্পিনার শাহানুরের বল জায়গা নিয়ে কভারে তুলে মেরে দুই রানেরানের খাতা খুলেন মুমিনুল। পরের বল ডিপ মিড উইকেটে পাঠিয়ে নেন আরও দুই রান। দুই ওভার পর পেসার রাহীর বলে দারুণ কভার ড্রাইভে পান প্রথম বাউন্ডারির স্বাদ। এক বল পর পুল করে বাউন্ডারি হাঁকান ওয়াইড লং অন দিয়ে।

প্রথম ইনিংসে খানিকটা নড়বড়ে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই চট্টগ্রামের অধিনায়ক ছিলেন আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু ভুল এক শটে ২০ রানে থেমে যায় মুমিনুলের ব্যাটিং। শাহানুরের বলে এগিয়ে এসে ফিরতি ক্যাচ দেন। নিজের বোলিংয়ে দারুণ ক্যাচ ধরে সিলেটকে বড় উইকেটের স্বাদ দেন শাহানুর।


               ৫ উইকেট নেওয়া চট্টগ্রামের ইফতেখার সাজ্জাদ রনি (ছবি : জনি সোম)

সঙ্গী হারালেও বিচলিত হননি ওপেনিংয়ে নামা জসিম উদ্দীন। উইকেটরক্ষক এ ব্যাটসম্যান ১০২ বলে ৪ বাউন্ডারিতে তুলে নেন ফিফটি। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। স্কোরবোর্ডে আরও ৬ রান যোগ করে আউট হন ৫৬ রানে। এনামুল হক জুনিয়রের বলে ক্যাচ দেন শর্ট লেগে। ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিক থাকা চট্টগ্রামের ইনিংসে হঠাৎ ছন্দপতন। পেসার ইবাদত পরপর দুই বলে দুই উইকেট তুলে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেন।

তাসামুল হকের উইকেট উপরে ফেলার পর সাজাদ্দুল হক রিপনকে এলবিডব্লিউ করেন ইবাদত। হঠাৎ চাপে পড়া চট্টগ্রাম দিন শেষে আর কোনো উইকেট হারায়নি। ইয়াসির আলী ৭ ও সাঈদ সরকার ১২ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন।


                    সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের ম্যাচের একটি দৃশ্য (ছবি : জনি সোম)

এর আগে দিনের শুরুতেই সাইফ উদ্দীন আঘাত করেন সিলেট শিবিরে। সায়েম আলম দ্বিতীয় স্লিপে তাসামুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ২৬ রানে। আরেক পেসার মেহেদী হাসান রানা জোড়া আঘাত করেন। অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল খোঁচা মারতে গিয়ে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দেন শাহানুর (১৪) এবং অনেক বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন জাকির আলী অনিক (০)।

১০২ রানে ৬ উইকেট হারানো সিলেটের শেষ চারটি উইকেট নেন ইফতেখার সাজ্জাদ রনি। শুরুটা রাজীন সালেহকে দিয়ে। ২৬ রান করা রাজীন সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন স্কয়ার লেগে শাখাওয়াতের হাতে। এরপর এনামুল হক জুনিয়র এগিয়ে এসে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দেন। সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ ২৭ রান করা আবুল হাসান রাজু ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করতে গিয়ে ক্যাচ দেন স্লিপে। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে রনির শিকার আবু জায়েদ রাহী। এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে স্ট্যাম্পড হন রাহী। আগের দিন জাকির হাসানকে বোল্ড করেছিলেন ক্যারিয়ারে পঞ্চমবারের মতো পাঁচ উইকেট পাওয়া রনি।



রাইজিংবিডি/সিলেট/২১ ডিসেম্বর ২০১৭/ইয়াসিন/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়