ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

২২ জুলাই থেকে প্রযুক্তি পণ্যে এমআরপি বাধ্যতামূলক

মনিরুল হক ফিরোজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৩৬, ২১ জুলাই ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
২২ জুলাই থেকে প্রযুক্তি পণ্যে এমআরপি বাধ্যতামূলক

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) কতৃক প্রণীত এমআরপি (সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য) নীতি চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামীকাল ২২ জুলাই (সোমবার) থেকে প্রতিটি প্রযুক্তি পণ্যে এমআরপি স্টিকার থাকা বাধ্যতামূলক।

রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ বিসিএস ইনোভেশন সেন্টারে ‘এমআরপি নীতিমাল বাস্তবায়ন, প্রক্রিয়া ও প্রস্তুতি’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এমআরপি নীতি চূড়ান্তকরণের ঘোষণা দিয়েছে বিসিএস।

সভার শুরুতে প্রস্তাবিত এমআরপি নীতিমালা পড়ে শোনান বিসিএস সভাপতি ইঞ্জি. সুব্রত সরকার। এমআরপি নীতিমালা অনুসারে, ২২ জুলাই থেকে কম্পিউটারসহ এ সংক্রান্ত সব যন্ত্রাংশে এমআরপি স্টিকার লাগানো বাধ্যতামূলক। প্রযুক্তি পণ্যের ওপর যে স্টিকার থাকবে, সেই স্টিকারের কম বা বেশি মূল্যে কম্পিউটার বা কম্পিউটার যন্ত্রাংশ বিক্রি করলে জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। কোনো প্রতিষ্ঠান নিয়ম ভঙ্গ করলে বিবেচনামতো শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। সতর্ককরণ নোটিশ প্রদান, সরবরাহকারী, আমদানিকারক ডিস্ট্রিবিউটর পেন্ডিং অর্ডার বাতিল, বিসিএসের সদস্যপদ প্রত্যাহারসহ সর্বনিম্ন ৫ হাজার টাকা জরিমানা নীতিমালা ভঙ্গের শাস্তি হিসেবে এমআরপি নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।

কম্পিউটার এবং কম্পিউটার সংশ্লিষ্ট যন্ত্রাংশ বা পণ্য ব্যবসায় উৎপাদনকারী, অনুমোদিত আমদানীকারক ও সরবরাহকারী, খুচরা বিক্রেতার স্বার্থ সংরক্ষণ, ব্যবসায়িক উন্নয়ন এবং ক্রেতা সাধারণের স্বার্থরক্ষা ও সন্তুষ্টির লক্ষ্যে এই নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। নীতিমালাটিকে মোট পাঁচটি অধ্যায়ে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম অধ্যায়ে প্রারম্ভিক, দ্বিতীয় অধ্যায়ে বিষয়বস্তু, তৃতীয় অধ্যায়ে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া, চতুর্থ অধ্যায়ে শাস্তি এবং পঞ্চম অধ্যায়ে বিবিধ বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে।

প্রযুক্তি পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে সবক্ষেত্রে একই মূল্য রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে গ্রাহকদের প্রতারিত হওয়ার কোনো সুযোগ থাকছে না। কোনো পণ্যের যদি একাধিক আমদানিকারক থাকে, সেক্ষেত্রে সব আমদানিকারকরা বসে একই মূল্য নির্ধারণ করবেন। প্রতিটি আমদানিকারক থেকে পরিবেশকরা একই মূল্যে কম্পিউটার পণ্য কিনতে পারবেন।

এমআরপি নীতিমালা বাস্তবায়ন বা এই নীতিমালা মেনে চলার বিষয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে কোনো জটিলতা সৃষ্টি হলে এবং এ বিষয়ে উভয়পক্ষ সমিতি বরাবর লিখিতভাবে তাদের অভিযোগ উত্থাপন করলে সমিতি দু’পক্ষের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। তবে সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে প্রচলিত আইনকে প্রাধান্য দেয়া হবে।

বিসিএসের এমআরপি নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পরিপূর্ণ সহযোগিতা প্রদান করবে। কম্পিউটার ব্যবসায়ীরাও এই নীতি বাস্তবায়নের জন্য সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেছেন।

মতবিনিময় সভায় বিসিএস সহ-সভাপতি ইউসুফ আলী শামীম, মহাসচিব মোশারফ হোসেন সুমন, কোষাধ্যক্ষ মো. জাবেদুর রহমান শাহীন, পরিচালক মো. আছাব উল্লাহ্ খান জুয়েল এবং মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ কম্পিউটার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ জুলাই ২০১৮/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়