ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

হিলিতে শীতের আবহ, জমে উঠেছে ব্যাডমিন্টন খেলা 

মোসলেম উদ্দিন, দিনাজপুর  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩৮, ২৯ অক্টোবর ২০২২   আপডেট: ১০:৪৪, ২৯ অক্টোবর ২০২২
হিলিতে শীতের আবহ, জমে উঠেছে ব্যাডমিন্টন খেলা 

ব্যাডমিন্টন খেলার একটি মুহূর্ত। শুক্রবার হিলি রেলওয়ে একতা ক্লাব চত্বর থেকে তোলা ছবি।

কার্তিক মাসে মাঝামাঝিতে নামতে শুরু করেছে শীত। আর তাই খোলা মাঠের জমিতে কোর্ট কেটে লাইটের আলোয় চলছে খেলা। র‌্যাকেটের বাড়ি খেয়ে হাওয়ায় উড়ছে কর্ক। কেউ সমস্বরে পয়েন্ট গুনছেন, কেউবা সুযোগ পেয়ে সজোরে ‘চাপ’ বসিয়ে দিচ্ছেন বিপক্ষ দলের কোর্টে। কোর্টের পাশে র‌্যাকেট হাতে দাঁড়িয়ে অন্যান্য খেলোয়াড়, দর্শক। র‌্যাকেটের বাড়ি আর দর্শকের হাত তালিতে মুখর পুরো এলাকা।

এ চিত্র দিনাজপুরের হিলিতে। শীতের আগমনী বার্তায় ভারত সীমান্তবর্তী শহরটির শিশু, কিশোর, যুবকসহ মধ্য বয়সীরা এখন ব্যাডমিন্টন খেলায় মেতে উঠেছেন।

আরো পড়ুন:

শীতের সন্ধ্যায় পাড়া কিংবা মহল্লায়, শহর কিংবা গ্রামে ব্যাডমিন্টন খেলার এ চিত্র খুব পরিচিত। শীত এলেই বাড়ির আঙিনা বা অন্য কোথাও জমে ওঠে এই মৌসুমি খেলা। সন্ধ্যা নামার পরপরই র‌্যাকেট নিয়ে মাঠে হাজির হন অফিস ফেরত কর্মজীবী ও স্কুল কলেজর শিক্ষার্থীরা। তাদের হই হুল্লোড়ে মুখর থাকে পুরো এলাকা।

হিলির যুব সমাজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী ছেলে মেয়েরা সন্ধ্যার পর থেকেই ব্যডমিন্টন খেলায় মেতে ওঠেন। বিশেষ করে রাত ৯ টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এই খেলায় অংশ নেওয়া মানুষের সংখ্যা থাকে বেশি।

শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর হিলি রেলওয়ে একতা ক্লাব চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, ব্যাটমিন্টন খেলায় মেতে উঠেছে শিশু কিশোর ও যুবকেরা। ব্যাটমিন্টন নেটের দুই পাশের খুঁটিতে বিদ্যুতিক বাল্ব জ্বালিয়ে খেলছেন তারা। 

রাকিবুল হোসেন নামের একজন খেলোয়াড় রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ব্যাডমিন্টন আমার খুবি প্রিয় খেলা। শীতের শুরুতেই আমরা  এই খেলা শুরু করেছি। প্রতিদিন বিকেলে এখনে ব্যাডমিন্টন খেলতে আসি।’

অপর খেলোয়াড় আতিকুর রহমান বলেন, ‘এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছি। পরীক্ষা শেষে হওয়ায় এখন লেখাপড়ার কোনো চাপ নেই। তাই সন্ধ্যা হলেই বন্ধুদের সঙ্গে এখানে ব্যাডমিন্টন খেলতে চলে আসি।’

ব্যাডমিন্টন কোর্টের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক দর্শক বলেন, ‘প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই এখানে খেলা দেখতে আসি।’

রেলওয়ে একতা ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আরমান আলী বলেন, ‘আমাদের এই এলাকাটি সীমান্তবর্তী হওয়ায় মাদকের প্রবণতা বেশি। শীত আসলেই বিভিন্ন বয়সের খেলোয়াড়রা আমাদের ক্লাব চত্বরে ব্যাডমিন্টন খেলতে আসেন। খেলাধুলার মধে ডুবে থাকলে শরীরের পাশাপাশি মনও ভালো থাকে।’

মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়