ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

সমাজ পুরুষকে শিখিয়েছে ‘কান্না করা যাবে না’

লাইফস্টাইল ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫৫, ১৯ নভেম্বর ২০২৫   আপডেট: ১৪:৪৩, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
সমাজ পুরুষকে শিখিয়েছে ‘কান্না করা যাবে না’

কষ্ট পেলে পুরুষ কাঁদুক। ছবি: প্রতীকী

শুরুতেই হাওয়ার্ড কান্ট্রি জেনারেল হসপিটালের সাইকিয়াট্রি বিভাগের প্রধান অ্যান্ড্রু অ্যাঞ্জেলিনোর মন্তব্য ধরে এগোনো যাক। তিনি বলেছেন, ‘‘নারীরা সাধারণত ডিপ্রেশনে থাকলে কাঁদেন। অন্যদিকে পুরুষরা রাগ করের। কেননা আমরা সমাজ ছেলেদের শিখিয়েছে, কান্না করা যাবে না।’’

এই যে পুরুষ কাঁদতে পারেন না, তাহলে রাগলে তিনি কী করেন? অ্যান্ড্রু বলছেন, ‘‘পুরুষ কাঁদতে পারেন না, তাই কাঁদার বদলে তারা রেগে যান। রাগ প্রকাশে তারা বিভিন্ন আক্রমণাত্মক পদ্ধতিও প্রয়োগ করেন।’’

আরো পড়ুন:

কান্না মানুষের আবেগ প্রকাশের ভাষা। তাহলে পুরুষ কাঁদতে পারবেন না কেন? পরিসংখ্যান দেখা গে‌ছে যে, ‘‘নারীরা প্রতি মাসে পাঁচবার কাঁদেন। আর পুরু‌ষেরা কাঁদের একবার, তাও লুকিয়ে কাঁদেন। তাদের কান্নাকে মোটেও ভালোভাবে নেওয়া হয় না। এই পার্থক্যটা সামা‌জিক ও লৈ‌ঙ্গিক কার‌ণে হয়ে থাকে।’’

আমাদের সমাজের পুরুষেরা পরিবারের বাড়তি প্রত্যাশার চাপ বহন করতে করতে কখন ক্লান্ত হয়ে পড়েন— আমরা অনেক সময় বুঝতেও পারি না। অথচ তারা বাড়তি প্রত্যাশা পূরণ করতে গিয়ে হতাশায় ডুবে যান। অতিরিক্ত ডিপ্রেশন থেকে পুরুষ বিরক্ত প্রকাশ, হঠাৎ রেগে যাওয়া, নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারানোর মতো কাজগুলো করে থাকেন। অনেক সময় অতিরিক্ত ঝুঁকিগ্রহণ করার মাধ্যমেও মেল ডিপ্রেশনের প্রকাশ করেন তারা। 

মনোবিদরা বলেন, ‘‘পুরুষদের ডিপ্রেশন বিষয়ে কথা বলার পরিবর্তে মাদকের দিকে ঝুঁকে পড়ার আশঙ্কা বেশি থাকে’’।

এদিকে পুরুষদের মধ্যে মানসিক সুস্থতা নিয়ে সচেতনতাও বেশ কম। তাদের কাছে আবেগ প্রকাশ মানেই সমাজের কাছে, পরিবারের কাছে ছোট হয়ে যাওয়া। পুরুষদের নিজেদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠা উচিত। নিজের আবেগ প্রকাশে ট্যাবু থেকে বের হওয়া উচিত।

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়