একটি ড্রেনের অভাবে পানির মধ্যে অর্ধশত পরিবার

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম বলিদাপাড়া। এই গ্রামের ফায়ার সার্ভিস পাড়ায় অর্ধশত পরিবারের বসবাস। যে পরিবারের মানুষেরা বর্ষা মৌসুমে ৩ থেকে ৪ মাস পানির মধ্যে বসবাস করেন। 

বর্ষাকাল শুরু হলে পাড়ায় পানি জমতে শুরু করে। ড্রেন না থাকায় পানি নামতে না পেরে সৃষ্টি হয় দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা। আর যখনই বৃষ্টি, তখনই পানি আরো বেড়ে যায়। দেখা দেয় ভোগান্তি আর পোকা-মাকড়ের উৎপাত। রাতেও বিষাক্ত পোকা আর সাপের ভয়ে ঘুম হয় না বাসিন্দাদের।  

এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা চেষ্টা করবেন দ্রুত প্রকল্প তৈরি করে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণের। 

বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) সরেজমিন ওই পাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, পাড়ার বাড়িগুলোর চারিপাশে হাঁটু পানি। অনেক বাড়ির মধ্যেও পানি। এরমধ্যে নিচু ঘরগুলোর মেঝেতেও পানি। তারা হাতে বাড়তি কাপড় নিয়ে বাইরে বের হন। অনেকে হাঁটু সমান কাপড় উঠিয়ে পানি পার হন। 

কথা হয় ওই পাড়ার বাসিন্দা আক্তার হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, পৌর কর্তৃপক্ষ পাড়ার মধ্যে ইট বিছানো রাস্তা করে দিয়েছে। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে সেই রাস্তা থাকে পানির নিচে। 

তিনি বলেন, বর্ষাকালে ৩ থেকে ৪ মাস তারা পানির মধ্যে থাকেন। এই সময়ে কষ্ট করে চলাচল করতে হয়। বিষয়টি তারা স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে একাধিকবার বলেছেন। তিনিও চেষ্টা করেছেন, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। 

ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন জানান, ফায়ার সার্ভিস পাড়ায় প্রবেশমূখ হতে একটি ড্রেন গ্রামের মধ্যে জয়নাল আবেদিনের বাড়ির পাশের ড্রেনে যুক্ত করে দিলে এই সমস্যার সমাধান হবে। এ জন্য মাত্র পাঁচশত মিটার ড্রেন নির্মাণ করতে হবে। সেই বিষয়ে পৌরসভায় তিনি কথাবার্তা বলছেন, আশা করছেন দ্রুত এর একটা সমাধান হবে। 

কালীগঞ্জ পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল ওহাব জানান, স্থানীয়ভাবে সমস্যাগুলো তাদের অবহিত না করা হলে অনেক সময় সমস্যা থেকেই যায়। এই বিষয়টি নিয়ে মেয়র ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন।