ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

জমজমাট ঘোড়াঘাট মাছ বাজার

মোসলেম উদ্দিন   || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১১, ৮ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ১২:১৫, ৮ নভেম্বর ২০২০
জমজমাট ঘোড়াঘাট মাছ বাজার

কম দামে তাজা মাছ পাওয়া যায় ঘোড়াঘাট বাজারে

প্রতিদিন ভোর থেকে শুরু হয় দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট মাছ বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম। কম দামে তাজা মাছ কিনতে এ বাজারে দূর-দূরান্ত থেকে আসেন মাছ ব্যবসায়ীরা।

ঘোড়াঘাটের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে করতোয়া নদীর শাখা। আর এই শাখা নদীতে জেলেরা প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে মাছ ধরছেন। এছাড়া, উপজেলায় বিভিন্ন খালে-বিলে, পুকুরে মাছের চাষ করছেন স্থানীয়রা। এসব মাছ কেনা-বেচা হয় ঘোড়াঘাট বাজারে।

রোববার (৮ নভেম্বর) সকালে ঘোড়াঘাট মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি-বিদেশি নানা প্রকার মাছ উঠেছে এ বাজারে। বাজারে মলা-ঢেলা, পুঁটি, কই, মাগুর, টেংরাসহ নানা মাছ উঠেছে।

মাছ ব্যবসায়ী নুকুল কুমার দাস রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমরা আড়ৎ থেকে মাছ কিনে খুচরা দরে বিক্রি করি। আজ বড় পাঙাস মাছ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি দরে কিনে তা বিক্রি করেছি ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে। ছোট পাঙাস ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। রুই মাছ ১৪০ টাকা কেজি দরে নিয়ে তা বিক্রি করেছি ১৬০ টাকায়। তেলাপিয়া মাছ ১১০ টাকা কেজি দরে কিনে ১২০ টাকা করে বিক্রি করেছি।

শামসুল হক নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘প্রয়োজন হলে সকালে এখানে মাছ কিনতে চলে আসি। কারণ এখানে নদীর ছোট মাছ পাওয়া যায়। নদীর মাছের স্বাদই আলাদা। দামও কম। আজ ২০০ টাকা কেজি দরে মলা মাছ কিনলাম।’

গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থেকে পাইকারি দরে মাছ কিনতে এসছেন রেজাউল করিম নামে এক ব‌্যবসায়ী। ঘোড়াঘাট বাজারে অন্য এলাকার চেয়ে মাছের দাম কম বলে জানান তিনি। 

উপজেলার কামদিয়া এলাকা মাছ চাষি রসুল মিয়া বলেন, ‘আমার তিনটি পুকুর আছে। পুকুরে আমি বিভিন্ন রকমের মাছ চাষ করে থাকি। এখন প্রতি সপ্তাহে একবার করে পুকুর থেকে মাছ তুলি এবং মাছ এই বাজারে এনে বিক্রি করি।’

আড়ৎদার ছাবিবর ও ওলি রহমান বলেন, ‘ভোর থেকে শুরু হয় মাছ কেনা-বেচা। চলে বেলা ১১টা পর্যন্ত। তবে খুচরা বাজারে সারা দিন কেনা-বেচা হয় মাছ। রাস্তার সঙ্গে আমাদের এই মাছের বাজার। এখানে কোনো ঘর বা সরকারি বাজার সেট নেই। যার কারণে আমাদের অনেক কষ্ট করে ব্যবসা করতে হয়।’

হিলি/ইভা 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়