ঢাকা     রোববার   ০৫ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২২ ১৪৩১

সাংবাদিকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা 

বরগুনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:২৫, ২৫ এপ্রিল ২০২৪  
সাংবাদিকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা 

বরগুনার তালতলী উপজেলায় এক নারীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় দুই সাংবাদিক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ আট জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পঞ্চাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক হাওলাদার। 

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন তিনি। ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান মামলা গ্রহণ করে বরগুনার ডিবি পুলিশের প্রধানকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। 

আসামিরা হলেন, এখন টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার আরিফ হোসেন, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার আমতলী প্রতিনিধি জসিম শিকদার, তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ছোট বগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তৌফিকুজ্জামান তনু, তনুর ছোট ভাই উপজেলা যুবলীগ নেতা তারেকুজ্জামান তারিক, কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের শফিকুল ইসলাম ইমন, মিলন গাজী, ছোটবগীর ঠংপাড়া গ্রামের মো. ফারুক ও পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের তাশরিফ আহমেদ জুয়েল। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামি তৌফিকুজ্জামান তনু ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর তার ফেসবুক আইডির ম্যাসেঞ্জার থেকে একটি আপত্তিকর ভিডিও বাদীকে পাঠান। ভিডিওটি প্রেরণ করে ক্ষুদে বার্তা দেন, তার বড় ভাই মনিরুজ্জামান মিন্টুর পক্ষে উপজেলা নির্বাচন করতে হবে। তা না করলে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে তৌফিকুজ্জামান তনু ওই ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। এ মাসের ৩ এপ্রিল বাদী ব্যাংকে যাওয়ার সময় মামলার ২নং আসামি তাকে তার অফিসে ডেকে নিয়ে একই ঘটনায় ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। এ সময় বাদী টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার ব্যাগে থাকা পাঁচ লাখ টাকা ২নং আসামি জোর করে আদায় করেন।

বাদী আবদুর রাজ্জাক হাওলাদার রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে সমাজে ছোট করার জন্য আসামিরা সিরিজ ভিডিও তৈরি করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আদালতে পর্নোগ্রাফি আইনের মামলা করেছি। আদালত মামলা আমলে নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’ 

সাংবাদিক জসিম শিকদার রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ভিডিও ভাইরাল হবার পর আমি প্রতিবেদন করেছি। মামলা আইনিভাবে লড়াই করব।’  

এ ব্যাপারে আসামি তৌফিকুজ্জামান তনু বলেন, ‘বাদীসহ কয়েক জন চেয়ারম্যানের কয়েকটি অশ্লীল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি। এক চেয়ারম্যান বাদী হয়ে সেই মেয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মেয়েটি জেল হাজতে। এই ঘটনায় আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমার বিরুদ্ধে কেন আবদুর রাজ্জাক হাওলাদার মামলা করেছেন, তা তিনি ভালো জানেন।’ 

এ ব্যাপারে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ বশির আলম বলেন, আদালতের নির্দেশ হাতে পেলে বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

ইমরান/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়