ঢাকা     শনিবার   ১৮ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

তীব্র গরমে কদর বেড়েছে আইসক্রিমের

দিনাজপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৩৮, ৪ মে ২০২৪  
তীব্র গরমে কদর বেড়েছে আইসক্রিমের

এক বাবা তার সন্তানকে ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতার কাছ থেকে আইসক্রিম কিনে দিচ্ছেন

টানা কয়েকদিনের তাপপ্রবাহে উত্তরবঙ্গের জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বৈশাখ মাসের এমন রুদ্র আবহাওয়ায় সবকিছু যেন থমকে গেছে। এরপরও জীবিকার তাগিদে বাড়ির বাইরে বের হতে হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষদের। গরম থেকে বাঁচতে তাই দিনাজপুরের বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে চাহিদা বেড়েছে বরফের (আইসক্রিম)। সাইকেলে চড়ে এই ঠান্ডা বস্তুটি বিক্রি করছিলেন ব্যবসায়ীরা। কিছুটা সময়ের জন্য শান্তি পেতে বিক্রেতাদের কাছ থেকে আইসক্রিম কিনে খেতে দেখা গেছে অনেককেই। 

হিলির বোয়ালদাড় গ্রামের গোলজার রহমান পেশায় একজন আইসক্রিম ব্যবসায়ী। তিনি ৩০ বছর ধরে এই ব্যবসা করছেন। একসময়ে পিঠে বাক্স ঝুলিয়ে বিভিন্ন গ্রামে আইসক্রিম বিক্রি করতেন তিনি। এখন তিনি বাইসাইকেলে চড়ে গ্রামে-গ্রামে গিয়ে এই পণ্যটি বিক্রি করছেন। তার কাছে ৫-১০ টাকায় মেলে আইসক্রিম। 

শনিবার (৪ মে) গোলজার রহমানকে বাইসাইকেল করে আইসক্রিম বিক্রি করতে দেখা যায়। গরমের এই মৌসুমে ঠান্ডা এই পণ্যটি বিক্রি করে সংসার চালান তিনি। গোলজার প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ পিস বরফ বিক্রি করে লাভ করছেন ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। 

হিলির জাংগই গ্রামে ধান কাটা শ্রমিক আতাউল গনি বলেন, তীব্র গরমে মাঠে ধান কাটা খুবই কষ্টকর। এই গরমে গোলজারের কাছ থেকে বরফ (আইসক্রিম) কিনে খাচ্ছি। কিছুটা হলেও শান্তি পাচ্ছি। শরীর শীতল থাকছে। 

একই গ্রামের বাসিন্দা খোকন বলেন, গরমে আইসক্রিম খেতে ভালোই লাগে। ৫ টাকা দিয়ে তাই আইসক্রিম কিনে খাচ্ছি। 

গোলজার রহমান বলেন, আইসক্রিম বিক্রি করেই আমার সংসার চলে। এখন সিজন, তাই আইসক্রিমের অনেক চাহিদা। প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা লাভ হয়। আল্লাহর রহমতে আমার সংসার ভালোই চলছে।

মোসলেম/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়