সুখ-দুঃখের কথা বলে ‘পালংয়ের হতা’
কক্সবাজার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
চারশতম পর্বে পা দিয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় মানুষের কণ্ঠ তুলে ধরা জনপ্রিয় কমিউনিটি ইনফোটেইনমেন্ট অনুষ্ঠান ‘পালংয়ের হতা’ (ভয়েস অব পালং)। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এ উপলক্ষে বিশেষ উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিন দুপুর ১টায় উখিয়ার কুতুপালংয়ের একটি খামারবাড়িতে এই আনন্দ আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডয়েচে ভেলে একাডেমির প্রজেক্ট অফিসার ও ট্রেইনার মাফিয়া মুক্তা, প্রডিউসার জিসান পাল, ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশনের (ইপসা) উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক যীশু বড়ুয়া, কক্সবাজার ফোকাল পার্সন মোহাম্মদ হারুন, ফিন্যান্স অ্যান্ড এডমিন অফিসার মোহাম্মদ মোরশেদুল হক এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপক শিহাব জিশান। এতে অংশ নেয় পালংয়ের হতার শ্রোতারাও।
এ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, “পালংয়ের হতা’ শুধু একটি অনুষ্ঠান নয়, এটি কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির ও আশপাশের হোস্ট কমিউনিটির মানুষের জন্য একটি যৌথ তথ্য ও যোগাযোগের প্ল্যাটফর্ম। এই উদ্যোগটি দুই কমিউনিটির মানুষের অংশগ্রহণমূলক মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, জীবিকা, পরিবেশ, সামাজিক সহাবস্থান ও মানবিক সহায়তা সংক্রান্ত তথ্য সহজ ভাষায় তুলে ধরা হয় এই আয়োজনে। এতে উঠে আসে দুই কমিউনিটির মানুষের সুখ-দুঃখের কথা।”
অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে সামাজিক সম্প্রীতি ও পারস্পরিক বোঝাপড়া জোরদার হয়েছে বলে দাবি করেন অনুষ্ঠানে বক্তারা। তাদের ভাষ্য, “এই রেডিও অনুষ্ঠানের অন্যতম শক্তি হলো শরণার্থী ও স্থানীয় মানুষের সরাসরি অংশগ্রহণ। নিজেদের গল্প, সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা নিজেরাই বলার সুযোগ পাওয়ায় শ্রোতাদের মধ্যে বিশ্বাস ও সংযোগ তৈরি হয়েছে। এতে একদিকে যেমন জীবনরক্ষাকারী তথ্য পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে, অন্যদিকে সামাজিক সম্প্রীতি ও পারস্পরিক বোঝাপড়াও জোরদার হয়েছে।”
আনন্দ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ফলিয়াপাড়া এলাকার আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, “পালংয়ের হতার চারশ পর্বের এই অর্জন প্রমাণ করে সঠিক প্ল্যাটফর্ম পেলে প্রান্তিক মানুষের কণ্ঠও সমাজের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে পারে।”
চারশতম পর্ব উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ভবিষ্যতে পালংয়ের হতার কনটেন্ট আরো বৈচিত্র্যময় করা, তরুণদের অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং কমিউনিটি সাংবাদিকতা শক্তিশালী করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
ঢাকা/তারেকুর/শান্ত