ঢাকা     মঙ্গলবার   ০৭ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

গাজীপুরে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার, চিরকুটে দুজনের পাশাপাশি কবর দেওয়ার আর্জি

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪৩, ২৬ এপ্রিল ২০২৪   আপডেট: ১২:২৪, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
গাজীপুরে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার, চিরকুটে দুজনের পাশাপাশি কবর দেওয়ার আর্জি

গাজীপুরের শ্রীপুরে বহুতল ভবনের একটি ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় মরদেহের পাশ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলার মুলাইদ গ্রামের মো. ফারুক খানের বহুতল ভবনের নিচ তলার এক কক্ষের একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. ইসরাফিল (১৭) শেরপুরের ঝিনাইগাতি থানার হলদি গ্রামের মো. মফিজুল হকের ছেলে ও মোছা. রোকেয়া খাতুন (১৫) ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার পস্তারি গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে ৭-৮ মাস আগে তারা পরিবারের অমতে বিয়ে করে। পরে শ্রীপুরের মুলাইদ গ্রামের মো. ফারুক হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থেকে ইসরাফিল স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপে আর রোকেয়া একটি কারখানায় কাজ করত।

রোকেয়ার ভাই মো. বোরহান উদ্দিন জানান, ৭-৮ মাস আগে পরিবারের অমতে তারা বিয়ে করেছিল। তাদের সংসার ভালোই চলছি। সম্প্রতি ইসরাফিল তার বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বউকে নিয়ে বাড়ি থেকে চলে যায়। পরে বৃহস্পতিবার তাদের বুঝিয়ে বাসায় আনা হয়। সকালে তাদের মৃত্যুর খবর পাই।

শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, খবর পেয়ে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রথমে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। বিষয়টি সইতে না পেরে স্বামীও আত্মহত্যা করেছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

নিহত ইসরাফিলের বাবা মফিজুল হক জানান, পাশাপাশি ফ্লাটে বসবাস করতেন তারা। পরিবারের রান্নার কাজ তারা ইসরাফিলের ফ্লাটে করতেন। সকালে ইসরাফিলের ফ্লাটের দরজা খোলা দেখতে পেয়ে ভেতরে যান এবং ইসরাফিলকে ওড়নায় পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় এবং রোকেয়ার মরদেহ খাটের ওপর বিছানায় দেখতে পান। এ সময় মরদেহের পাশ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়।

চিরকুটে লেখা রয়েছে, ‘মা-বাবা আমাকে মাফ করে দিও, আমি তোমাদের সাথে থাকতে পারলাম না। আমার জান আমার জন্য ফাঁসিতে ঝুলেছে। তাই আমি থাকতে পারলাম না। আমি কাউকে দোষারোপ করি না। কারও কোনো দোষ নাই। আমার জান আমার জন্য অপেক্ষা করতাছে। সবাই ভালো থাকবা। মো. ইসরাফিল। মা আমার পাশে রোকেয়ার কবর দিও মা। মা আমি জানি না আমার জান কেন ফাঁস দিল। তার জন্য সম্পূর্ণ আমি দায়ী। এতে কারও কোনো দোষ নাই।’

রফিক/কেআই

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়