ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

শীত ডাকছে শীতবস্ত্র

আরিফুল ইসলাম সাব্বির, সাভার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২১, ১৩ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ১০:৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২০
শীত ডাকছে শীতবস্ত্র

সাভার নিউ মার্কেটে চলছে শীতবস্ত্র বিক্রি (ছবি: রাইজিংবিডি)

হেমন্তের শুরুতেই গ্রামে গ্রামে শুরু হয়েছে শীতের আমেজ। ঘন কুয়াশার সঙ্গে সঙ্গে শীতবস্ত্রের বাজার জমতে শুরু করে জানিয়ে দিচ্ছে হাড় হিম করা ঠান্ডার আগমনী বার্তা।

শীত জেঁকে না বসলেও আগে আগেই গরম কাপড় কিনে রাখতে চাইছেন অনেকে।  ফুটপাত থেকে শুরু করে বিপণি বিতানের কাচ ঘেরা দোকানেও রঙ-বাহারি শীতের পোশাক ডাকছে ক্রেতাদের!

সাভার, আশুলিয়া, ধামরাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে এই চিত্র। হেমন্তের শেষভাগে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা নেমে এলে প্রকৃতি ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাওয়ার পাশাপাশি শীতও জেঁকে বসে। মূলত তখনই বাড়ে গরম কাপড়ের কদর।

বিক্রেতারা বলছেন, এখনো শীতের কাপড়ের বেচাকেনা পুরোদমে শুরু না হলেও প্রতিদিনই কিছু কিছু কাপড় বিক্রি হচ্ছে। পথে হাঁটতে হাঁটতে একটু থেমে কাপড় নেড়েচেড়ে দেখছেন অনেকেই।

সাভারের জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থা মার্কেট, রাজ্জাক প্লাজা, চৌরঙ্গী মার্কেট, মাহতাব প্লাজা, কোরাইশী মার্কেট, সাভার সিটি সেন্টার, সাভার নিউ মার্কেট ধামরাইয়ের বাজার মার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়ে অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে ব্যবসায়ীদের।

যেখানে কয়েকদিন আগেও শার্ট, টি-শার্ট, প্যান্ট সাজিয়ে রাখা ছিল সেখানেই সাজিয়ে রাখা হয়েছে দেশি-বিদেশি কম্বল, জ্যাকেট, ব্লেজার, ফুলহাতা জামা, স্যুয়েটার ও আমদানি করা কাঁথা।

এছাড়া এসব অঞ্চলে ঘুরে সড়ক, মহাসড়ক ও বিভিন্ন কারখানার সামনে ফুটপাতে অন্তত কয়েকশ শীতবস্ত্রের দোকান দেখা গেছে।

সাভারের কোরাইশি মার্কেটের কাপড় বিক্রেতা সাহিন আলম বলেন, শীত এখনো পরতে শুরু করেনি। তবে অনেকেই শীতের কাপড় খুঁজছেন। কিছু বেচাবিক্রিও হচ্ছে, তাই কাপড় তুলেছি। এই মাসের মধ্যেই বেচাবিক্রি পুরোদমে শুরু হয়ে যাবে।

রাজ্জাক প্লাজার এক দোকানে দুই বছরের বাচ্চার জন্যে রঙিন সোয়েটার কেনেন সাইফুল ইসলাম। জানালেন, ধামরাই থেকে স্ত্রীর চিকিৎসার প্রয়োজনে সাভার এসেছিলেন তিনি। একটু পরেই ফিরে যাবেন, তার আগে বাচ্চার জন্যে সোয়েটার কিনে নিলেন।

তিনি বলেন, হঠাৎ করে শীত নেমে গেলে গরম কাপড়ের দামও বেড়ে যাবে, তাই আগে কাপড় কিনে নিতে এখানে আসা।

আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুতে ফুটপাতের দোকানি বাবলু ইসলাম বলেন, দুই থেকে সাড়ে তিনশ টাকার মধ্যে ফুলহাতা গেঞ্জি বিক্রি করছেন তিনি।  শুরুর দিকে হালকা শীতে কিশোর-তরুণদের কাছে দারুণ চাহিদা থাকে এ ধরনের গেঞ্জির।

শীতবস্ত্রে ঠাসা দেখা গেছে বড় বিপণি বিতানগুলোতেও।  সাভারের রাজ্জাক প্লাজার ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম বলেন, হালকা শীতের আমেজ শুরু হয়েছে।  তার আগেই দেশি-বিদেশি শীতের পোশাকের সংগ্রহ সাজিয়েছেন তিনি। 

অন্ধ মার্কেটের কম্বল বিক্রেতা আব্দুস সাত্তার বলেন, ঢাকার বিভিন্ন মার্কেট থেকে বিদেশি কম্বল আনেন তারা। ১ হাজার থেকে ৫-৭ হাজার টাকার মধ্যে এসব কম্বল বিক্রি করা হয়।

পাইকারিতে এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫-৭ হাজার টাকায় কম্বল মিলছে। আর দেশে তৈরি কম্বল পাওয়া যাচ্ছে ৬-৭শ টাকায়।

শীতের কাপড় বিকিকিনি প্রসঙ্গে জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থা মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, শীত তো এখনো পুরাপুরি আসেনি। কম কম করে শুরু হয়েছে এরইমধ্যে। আমাদের মার্কেটে দেশি পণ্যই সবচেয়ে বেশি চলে। নিম্ন থেকে উচ্চবিত্ত সব ধরনের ক্রেতার জন্য মার্কেটে পণ্য রয়েছে।  আমরাও সবসময় স্থানীয় পোশাক উৎসাহিত করি। শীতের সময় সোয়েটার, কম্বল প্রচুর চলে। 

তিনি বলেন, গত মৌসুমে শীত কম পড়ায় ব্যবসা কম ছিল।  তবে এ বছর আভাস পাচ্ছি শীত বেশি পড়তে পারে, ফলে ব্যবসাও ভালো হবে বলে আশা করছি।

সাভার/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়