ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

খুলনায় উচ্চ ঝুঁকিতে ২০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৫৩, ২৫ মে ২০২১  
খুলনায় উচ্চ ঝুঁকিতে ২০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের এক বছর পার হলেও খুলনার উপকূলীয় অঞ্চলে এখনো জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে পাউবোর বেড়িবাঁধ। এ নিয়ে আতঙ্কে আছেন উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ২০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ এলাকার সাধারণ মানুষ। আর এই আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’।  

খুলনা পাউবো সূত্র জানায়, জেলায় ৮৭০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এরমধ্যে ২০ কিলোমিটার বাঁধ উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে স্থানীয়দের মতে, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের দৈর্ঘ্য আরও বেশি হবে।

উপকূলের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘূর্ণিঝড় বিধস্ত খুলনাঞ্চলের উপকূলে দীর্ঘদিন মেরামত না হওয়ায় অধিকাংশ বাঁধের বেহাল দশা। জোয়ার একটু বেশি হলেই বাঁধ ছাপিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে। প্রায় প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসের আঘাতে উপকূলীয় এলাকার মানুষের জীবন ও জীবিকা বিপর্যস্ত।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ ধেয়ে আসার খবরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বিধ্বস্ত খুলনার কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপসহ উপকূলবাসী। নদ তীরবর্তী বেড়িবাঁধের বাইরে ও বাঁধের কাছাকাছি বাসিন্দারা আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। 

কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘আম্ফানের পর নড়বড়ে ও ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় রয়েছে কয়রাসহ উপকূলের বেড়িবাঁধ। এরফলে অরক্ষিত হয়ে পড়েছে উপকূল। এর মধ্যে ধেয়ে আসছে ইয়াস।’

তিনি বলেন, ‘বাঁধের যেসব জায়গায় এক বছর আগে আম্ফানে ভেঙে গিয়েছিল, সেসব জায়গার সংস্কার কাজ এখনো শেষ হয়নি। এখন জোয়ারে পানি ওঠে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস যদি আঘাত হানে তাহলে ক্ষয়ক্ষতি আরও বাড়বে।’

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াসে’র প্রভাবে খুলানায় বৃষ্টি 

খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘খুলনা ২০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ। তবে কয়রা পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনার আওতাধীন নয়, ঝুঁকিপূর্ণ এ উপজেলাটি সাতক্ষীরা পাউবোর অধীন।’

তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় পাঁচ হাজার জিও ব্যাগ ও সিনথেটিক ব্যাগ মজুত রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল হোসেন বলেন, ‘খুলনাঞ্চলের বেড়িবাঁধ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এর মধ্যে কয়রা ও শ্যামনগরের প্রকল্প দুটি অনুমোদনের শেষ পর্যায়ে রয়েছে।’

মুহাম্মদ নূরুজ্জামান/ইভা 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়