ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

মানিকগঞ্জে বন্যায় পানিবন্দি লাখো মানুষ

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪৪, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১  
মানিকগঞ্জে বন্যায় পানিবন্দি লাখো মানুষ

মানিকগঞ্জে শিবালয় উপজেলায় যমুনা নদীর আরিচা পয়েন্টে পানি ১৬ দিন ধরে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কালীগঙ্গা, ধলেশ্বরী, ইছামতি ও গাজীখালি নদীর পানিও বেড়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার ৪টি উপজেলার এক লাখ ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় জানায়, জেলার হরিরামপুর, শিবালয়, দৌলতপুর ও সাটুরিয়া উপজেলার আংশিক এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এসব এলাকার ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় জানায়, বন্যা দুর্গতদের মধ্যে ৭ দশমিক ২ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ৮০ মেট্রিক টন চাল ও ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, শিবালয় উপজেলার যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ সে.মি কমে বিপৎসীমার ২৮ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমলেও এ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে থাকায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবির্তিত রয়েছে। তবে কালীগঙ্গা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ সে.মি বেড়ে বিপৎসীমার ৩০ সে.মি উপরে রয়েছে। ধলেশ্বরী নদীর জাগীর পয়েন্টের সোমবার (৬ আগষ্ট) দুপুর পর্যন্ত বিপৎসীমার মাত্র ২ সে.মি নিচে ছিল।

দৌলতপুর উপজেলার বাঁচামারা এলাকার বাসিন্দা ইকবাল হোসেন বলেন, নদী ভাঙ্গনে অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। বন্যার পানিতে রাস্তাঘাট তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অনেক এলাকার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পানিবন্দি রয়েছে অনেক পরিবার।

শিবালয় উপজেলার তেওতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বলেন, যমুনার পানি বিপৎসীমার উপরে থাকায় ৮০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এ বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এখনো ত্রাণ কার্যক্রম শুরু হয়নি। তবে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে সহায়তা দেওয়া হবে।

মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন, বন্যা দুর্গত এলাকার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ রয়েছে। নদী ভাঙ্গন ও বন্যা কবলিত এলাকার মানুষদের মধ্যে ত্রাণ বিতরন করা হয়েছে।

চন্দন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়