ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

‘সইলে শক্তি নাই, তাই নাতিডার কোলে ভোট দিতে আইছি’

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩৯, ২৮ নভেম্বর ২০২১   আপডেট: ১২:০৪, ২৮ নভেম্বর ২০২১
‘সইলে শক্তি নাই, তাই নাতিডার কোলে ভোট দিতে আইছি’

নাতির কোলে আমেনা খাতুন

পাচঁ বছর আগে স্বামী আমির উদ্দিনের সঙ্গে ভোট দিতে এসেছিলেন আমেনা খাতুন। এবার এসেছেন স্বামী ছাড়া। গত বছর নির্বাচনের পরপরই তার স্বামী মারা যান। এখন তার বয়স প্রায় ৯৫ বছর। তবুও ভোটাধিকার প্রয়োগে ভুলেননি।

এবার আসছেন নাতির কোলে করে ভোট দিতে। বললেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বরাবরই ভোট দিয়েছেন তিনি। তবে এবারই বোধয় তার জীবনের শেষ ভোট। তার একটি ভোট অনেক মূল্যবান তাই তিনি বৃদ্ধ বয়সেও ভোট কেন্দ্রে চলে এসেছেন সকাল সকাল।

সকালে নাতি মো. আল আমিনের কোলে করে ভোট দিতে আসেন সদর উপজেলার কর্শাকড়িয়াইল ইউনিয়নে। ২ নম্বর ওয়ার্ডের চিকনিরচর গ্রামের শামছুদ্দিন ভূইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন।

যাওয়ার পথে আমেনা খাতুন (৯৫) রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘বাবারে সইলে অহন হাঁটার শক্তি নাই। তাই নাতিডার কোলে কইরা ভোট দিতে আইছি। নির্বাচনে ভোট দিতাম পাইরা খুব বালা লাগতাছে। তয় এইবারই বোধয় জীবনের শেষ ভোট দিলাম। আর কয়দিন বাঁচি জানি না। ভোট দিতে বালা লাগে, তাই আইছি। আমার ভোটে কেও পাশ করলে আর খুশি অইবাম।’

তার নাতি মো. আল আমিন রাইজিংবিডিকে জানান, ‘দাদি প্রতিবারই ভোট দিয়েছে। এবারও ভোটের আগে অসুস্থ শরীরে জেদ করছে ভোট দিবে। তাই বাধ্য হয়ে তাকে ভোটকেন্দ্রে কোলে তুলে নিয়ে আসলাম। প্রথমে মন খারাপ ছিল তার, এখন ভোট দিতে পেরে অনেক খুশি তিনি।’

আমেনা খাতুনের মত এমন অসংখ্য বৃদ্ধ, বয়োজ্যেষ্ঠ ভোটার তাদের ভোট প্রয়োগ করছেন আজকের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে। আগামী নির্বাচনে হয়তো তাদের অনেকে আর ভোট দেওয়ার অবস্থায় থাকবেন না। তাই সবারই ইচ্ছা সুষ্ঠু, অবাধ ও সুন্দর একটি নির্বাচন দেখে যেতে। তাই তারা উৎসবমুখর পরিবেশে মনের আনন্দে এসেছিলেন ভোট প্রয়োগ করতে।

রুমন/বুলাকী

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়