ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ভারি বৃষ্টিপাতে সিলেটে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগ চরমে

সিলেট প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪০, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২   আপডেট: ১১:৪৫, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
ভারি বৃষ্টিপাতে সিলেটে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগ চরমে

বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কর্মস্থলে ছুটছেন মানুষজন

সিলেটে গত রোববার দিবাগত রাত থেকে শুরু হওয়া ভারি বৃষ্টিপাত সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালেও অব্যাহত ছিল। এতে নগর জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র জলাবদ্ধতা। ফলে দুর্ভোগে পরেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে নগরীর কোথাও গোড়ালি, কোথাও হাঁটু পর্যন্ত পানি জমেছে। পাঠানটুলা, চন্ডিপুল-পুলেরমুখের বঙ্গবীর রোড, চৌহাট্টা-নয়াসড়ক, রাজারগলি, পায়রা, বাদাম বাগিচা, খাসদবীরসহ বিভিন্ন এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া অনেক বাসাবাড়ি ও দোকানেও পানি প্রবেশ করেছে।

জলাবদ্ধতা নিয়ে একাধিক ভুক্তভোগী বলেন, অল্প বৃষ্টিতে রাস্তায় হাঁটুপানি হয়ে যায়। জলাবদ্ধতায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন নগরীর নিচু এলাকার মানুষ। বিভিন্ন বাসার নিচতলা পানিতে প্লাবিত হওয়ায় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাসিন্দারা খাটের ওপর তুলে রাখেন। অনেক বাসার মেঝেতে থাকা জিনিসপত্র ভিজে নষ্ট হচ্ছে।

সিলেট নগরীর ১ নম্বর ওয়ার্ডের পায়রা এলাকার বাসিন্দা মো.আজমল আলী বলেন, ‘মধ্যরাত থেকে বৃষ্টি হওয়ায় আমার এলাকার মিরের ময়দান পায়রা ও রাজারগলি এলাকায় হাঁটু পর্যন্ত পানি জমেছে। বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই পায়রা এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। অথচ এর কোনো সমাধান সিটি করপোরেশন করছে না।’

দক্ষিণ সুরমার রোমান আহমদ বলেন, ‘পুরো বছর ড্রেনের কাজ চলে। কোনো কুল-কিনারা নেই। বৃষ্টি হলেই বঙ্গবীর সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা কঠিন হয়ে পড়ে। গোড়ালি থেকে হাঁটুপানি হয়ে যায়। গাড়ি নিয়ে যাওয়া আসা করতে গেলেও ভোগান্তির শেষ থাকে না।’

শাহানা বেগম নামের এক স্কুল শিক্ষিকা বলেন, ‘পাঠানটুলা এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে আটকা পড়েছিল আমাদের বহনকারী সিএনজি। বিকল্প পথে এগিয়ে গেলেও খাসদবির এলাকায় আবারো আটকে যায় গাড়ি। দীর্ঘ বিড়ম্বনা শেষে বিদ্যালয়ে পৌঁছাতে পেরেছি।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেট নগরীর অধিকাংশ ড্রেনের কাজ চলছে ধীরগতিতে। তাই বৃষ্টি হলেই পানি নামতে সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া অনেক নালা, নর্দমা ও ছড়া ভরাট হয়ে গেছে। ফলে বৃষ্টির পানি সহজে নামতে পারছে না।

এ বিষয়ে জানতে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমানও ফোন রিসিভ করেননি। 

নূর আহমদ/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়