ঢাকা     রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৬ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

দুদকের মামলায় চার ব্যাংক কর্মকর্তাসহ পাঁচ জনের কারাদণ্ড

নোয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৫৭, ৩ অক্টোবর ২০২২  
দুদকের মামলায় চার ব্যাংক কর্মকর্তাসহ পাঁচ জনের কারাদণ্ড

দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় এক গ্রাহকসহ সোনালী ব্যাংকের চার কর্মকর্তাকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তিন কোটি ৭০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (৩ অক্টোবর) নোয়াখালী বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এএনএম মোর্শেদে খান এ রায় দেন। আসামিদের সাজা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের স্ত্রী-সন্তানদের সম্পদের হিসাব ও আয়ের উৎস তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তারা হলেন- সোনালী ব্যাংকের এজিএম এ জে আবদুল্লাহ আল মামুন, সিনিয়র অফিসার জাকের উল্যাহ, ক্যাশিয়ার এম এ রহমান ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. সামছুদ্দোহা নাহাদ।

অপর দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যাংকের গ্রাহক নিজাম উদ্দিন ফারুক। তিনি নোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে ও মেসার্স ডলফিন সি ফুড ইন্ড্রাস্ট্রিজের মালিক।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে কোল্ড স্টোরেজে ইলিশ মাছ রেখে ব্যবসার জন্য ২০১২ সালের ১০ জুলাই দুই কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন করেন। পরে মাছ না কিনে ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে ওই বছরের ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১৪টি চেকে এক কোটি ৯৭ লাখ ১৬ হাজার ৭০০ টাকা উত্তোলন করেন। এর বিপরীতে ৫১ হাজার ৪৩৯ কেজি ইলিশ মাছ ক্রয় করে গুদামজাত করার কথা থাকলেও তা না করে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করা হয়।

এ ঘটনায় সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মোস্তফা কামাল ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল সাত জনকে আসামি করে সুধারাম মডেল থানায় মামলা করনে। পরে দুদকের নোয়াখালী সম্মিলিত কার্যালয়ের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. মশিউর রহমান তদন্ত শেষে ২০১৭ সালরে ২৩ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মোল্লা হাবিবুর রসুল মামুন, অ্যাডভোকেট সামছুদ্দিন আহমেদ ও অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান সিদ্দীকি।

রায় ঘোষণার সময় আসামি জাকের উল্লাহ, এম এ রহমান ও মো. সামছুদ্দোহা নাহাদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম মীর আবদুল লতিফ ও ব্যবস্থাপক মো. মোস্তাক আহমেদ সিদ্দিকীকে মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

সিনিয়র অ্যাডভোকেট মোল্লা হাবিবুর রসুল মামুন বলেন, ‘রায়ে আসামিপক্ষ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। রায়ের কপি হাতে পেলে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। আশা করি সেখানে ন্যায়বিচার পাবো।’

নোয়াখালী জেলা দুদকের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সুজন/কেআই

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়