ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

রাস্তা বন্ধ করায় ১২ পরিবার অবরুদ্ধ ২৫ দিন 

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১৯, ৫ অক্টোবর ২০২২  
রাস্তা বন্ধ করায় ১২ পরিবার অবরুদ্ধ ২৫ দিন 

বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে

গাজীপুরের কালীগঞ্জের বক্তারপুর ইউনিয়নের কলুন গ্রামে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করায় ১২টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিবেশীর রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।  রাস্তাটি বন্ধ করায় পরিবারগুলো গত ২৫ দিন ধরে চলাচলে বিড়ম্বনায় পড়েছেন।

এদিকে এ ঘটনার সমাধান চেয়ে স্থানীয় উপজেলা ও পুলিশ  প্রশাসনে অভিযোগ করেও সমাধান মিলছে না বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। 

বুধবার (৫ অক্টোবর) সকালে ভূক্তভোগীদের পক্ষে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের বিষয়টি জানান কলুন গ্রামের মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে ইব্রাহীম ভূঁইয়া (৩৮)।

অভিযুক্তরা হলেন- কলুন  গ্রামের প্রতিবেশী মৃত আমজাদ ভূঁইয়ার ছেলে আলোক ভূঁইয়া (৫৫), একই গ্রামের  ফরিজ উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে সাইফুল ভূঁইয়া (২৭) ও মৃত মনিরুজ্জামানের ছেলে কাশেম ভূঁইয়া (৫৮)। 

ভূক্তভোগী ইব্রাহীম ভূঁইয়া বলেন, ‘পূর্ব শত্রুতার জেরে অভিযুক্তরা গেল ১০ আগস্ট আমার পরিবারসহ আরো ১২টি পরিবারের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। সবার চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাস্তাটি হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়ায় ওই ১২টি পরিবারের প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ অবরুদ্ধ হয়ে আছেন। অনেক কষ্টে অন্যের বাড়ির উঠোন বা বারান্দা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে আমাদের। অন্যের বাড়ির উঠোন বা বারান্দা দিয়ে শিশুরা স্কুলে ও মুরব্বিরা মসজিদে যান। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের কাছে গেলে তারা সালিশ মিমাংশার মাধ্যমে বিষয়টি নিস্পত্তি করার চেষ্টা করেন। কিন্তু অভিযুক্তরা আর ওই রাস্তা উন্মুক্ত করেনি। পরে গেল ১৫ সেপ্টেম্বর কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জের (ওসি) কাছে লিখিত অভিযোগ করেও রাস্তার ব্যাপারে কোনো প্রতিকার পায়নি।’

অভিযুক্ত কাশেম ভূঁইয়া বলেন, ‘যে রাস্তা নিয়ে অভিযোগ, সেটা আমাদের পারিবারের রাস্তা। এই রাস্তা দিয়ে আমাদের বৌ-বেটিরা চলাচল করে। তবে আমাদের অন্য জায়গা দিয়ে বিকল্প রাস্তা তৈরি করে তাদেরকে চলাচল করতে বলেছি।’

ইউপি সদস্য মো. ইকবাল হোসেন সারোয়ার বলেন, ‘চেয়ারম্যান ও এলাকার গন্যমাণ্য ব্যক্তিসহ সবাইকে নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশ মিমাংসা করে দিয়ে ছিলাম। কিন্তু পরে শুনেছি কোনো পক্ষই  সালিশ মিমাংসার কথা মানেননি।’

বক্তারপুর ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আকন্দ ফারুক বলেন, ‘বিষয়টির ব্যপারে আমি গিয়ে বলে এসেছিলাম। পরে শুনলাম তারা আর রাস্তা দেয়নি। এ ব্যপারে থানার ওসি সাহেবও আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। উনি বলেছেন ঘটনাস্থলে আসবেন। ওসি আসলে আবার গিয়ে বিষয়টি মিমাংসার ব্যবস্থা করবো।’

ওসি মো. আনিসুর রহমার বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি এবং দু’পক্ষের সাথেই কথা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষ ও স্থানীয় চেয়ারম্যানকে নিয়ে মিমাংসার চেষ্টা করবো।’

ইউএনও মো. আসসাদিকজামান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা দুই পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে আবারও মিমাংসার চেষ্টা করবেন।’  

রফিক/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়