ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালো পাবনা জেলা পুলিশ

পাবনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩৮, ১ ডিসেম্বর ২০২২   আপডেট: ১০:৪০, ১ ডিসেম্বর ২০২২
অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালো পাবনা জেলা পুলিশ

সম্প্রতি পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান শাহেদ আল মাহমুদ লিমন (২৫)। একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটিকে হারিয়ে পরিবারটি অসহায় ও দিশেহারা হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়ে সহায়তার হাত বাড়িয়েছে পুলিশ। 

পাবনা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পরিবারটিকে একটি নতুন অটোরিকশা এবং নগদ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী বুধবার (৩০ নভেম্বর) পাবনা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে জেলা পুলিশের পক্ষে পরিবারের সদস্যদের হাতে অটোরিকশা এবং নগদ ৪৫ হাজার টাকা তুলে দেন।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আক্তার, নিহত লিমনের স্ত্রী আফসানা বেগম, বোন নাজমুস সাবা খুশবু, মা জীবন নাহার বেগমসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলতি বছরের গত ২৮ সেপ্টেম্বর সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে হেমায়েতপুর এলাকায় বের হন লিমন। রাত একটার দিকে শাহদিয়ার নামক স্থানে খড়ি বোঝাই একটি ট্রলি সিএনজি অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই চালক শাহেদ আল মাহমুদ লিমন (২৫) নিহত হন।

লিমন ছিলেন তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। বাবা প্যারালাইসিস রোগী। সেই সাথে দুই বছরের শিশু সন্তান নিয়ে লিমনের স্ত্রী এবং মা চরম দুর্বিষহ অবস্থায় পড়েন। বিষয়টি জেলা পুলিশের নজরে আসলে মানবিক দিক বিবেচনা করে পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।

এছাড়াও দুর্ঘটনায় পতিত ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত অটোরিকশাটি মেরামতেরও আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী। যাতে করে সিএনজি ও অটোরিকশা ভাড়া দিয়ে লিমনের পরিবার সচ্ছলভাবে চলতে পারে।

পুলিশ সুপারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে লিমনের স্ত্রী আফসানা বেগম বলেন, আমার শ্বশুর-শাশুড়ি ও আমার ২ বছরের অসহায় মেয়ের দিকে তাকিয়ে স্যার (পুলিশ সুপার) যে উপকার আমাদের করলেন, তা কখনও ভুলবো না।   আমরা দোয়া করি, স্যার যেন এভাবে আরও অনেক অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারেন।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী বলেন, যে চলে গেছেন তাকে তো আর ফিরানো সম্ভব নয়। কিন্তু তার চলে যাওয়াতে পরিবারটি খুবই অসহায় অবস্থায় রয়েছে। লিমনই একমাত্র উপার্জন সক্ষম ব্যক্তি ছিলো তাদের। তাদের পাশে দাঁড়াতে সেজন্য আমরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করি। যাতে অসহায় বাবা-মা ও তার স্ত্রী-সন্তান অন্তত দু’মুঠো খাবার খেয়ে বেঁচে থাকার মতো অবলম্বন পায়।

শাহীন/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়