ঢাকা     মঙ্গলবার   ০৭ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

পাবনায় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

পাবনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:১৭, ২০ মার্চ ২০২৪  
পাবনায় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম

জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় পাবনায় মামলা দুটি দায়ের করেন উপ-সহকারী পরিচালক মনোয়ার হোসেন।

যাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে, তারা হলেন সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার মশিপুর গ্রামের শাহাদত হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী জোমেলা খাতুন। সাইফুল ইসলাম ২নং গাঁড়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। আর তার স্ত্রী ডেইরি ফার্মের ব্যবসায়ী। 

দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় পাবনার উপ-পরিচালক খায়রুল হক জানান, সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিক অনুসন্ধানে সত্যতা পাওয়ায় দুদক থেকে তাকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেয়া হয়। তিনি ২০২৩ সালের ১২ মে নোটিশ পান এবং ৪ জুলাই সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।

সাইফুল ইসলাম তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে সর্বমোট ২ কোটি ৫৫ লাখ ৯২ হাজার ৪৮৪ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য দেন। কিন্তু দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী অনুসন্ধানকালে তার নামে স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে মোট ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৩৪৩ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য পায় দুদক। এখানে তিনি ৩ কোটি ২০ লাখ ৭ হাজার ৮৫৯ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।

দুদকের অনুসন্ধানে মোট অর্জিত সম্পদের বিপরীতে তার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় মোট ১ কোটি ৬০ লাখ ২২ হাজার ৬৭৯ টাকা। সুতরাং আয় বাদে ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম ৪ কোটি ৩৪ লাখ ১৪ হাজার ৬৬৪ টাকা মূল্যের আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন।

অপরদিকে, একই অভিযোগে নোটিশ পেয়ে একইদিনে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের স্ত্রী জোমেলা খাতুন।

দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তিনি স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে মোট ১ কোটি ৫ লাখ ২৬ হাজার ২১৯ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য দেন দুদকে। কিন্তু সম্পদ বিবরণী অনুসন্ধানকালে তার নামে স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে মোট ১ কোটি ৩৯ লাখ ৫৭ হাজার ১৮ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। জোমেলা খাতুন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৩৪ লাখ ৩০ হাজার ৭৯৯ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।

জোমেলা খাতুনের আলোচ্য সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় মোট ১৩ লাখ ৫৫ হাজার ৮৩০ টাকা। অর্থাৎ আয় বাদে তিনি ১ কোটি ২৪ লাখ ৬০ হাজার ৯১৪ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় পাবনার উপ-পরিচালক খায়রুল হক জানান, মামলা দুটির তদন্ত করবে দুদক।
 

শাহীন/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়