ঢাকা     বুধবার   ০১ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

কুমিল্লায় তাপপ্রবাহ ও লোডশেডিংয়ে মানুষ অতিষ্ঠ 

রুবেল মজুমদার, কুমিল্লা  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৪৫, ৪ এপ্রিল ২০২৪  
কুমিল্লায় তাপপ্রবাহ ও লোডশেডিংয়ে মানুষ অতিষ্ঠ 

বৃষ্টি না হওয়ায় চৈত্রের খরতাপে পুড়ছে কুমিল্লা জেলা। টানা তিন দিন ধরে কুমিল্লার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর সঙ্গে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জনজীবন। 

সকাল, দুপুর, বিকেল এমনকি মধ্যরাতেও বিদ্যুতের লোডশেডিং হচ্ছে। অন্যান্য বছরের চেয়ে চলতি বছর গরমের তীব্রতা ক্রমশ বাড়ছে। ফলে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে মানুষ।

অতিরিক্ত গরমে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে শিশু, নারী এবং বৃদ্ধরা কষ্ট পাচ্ছে। রমজানে গরমে অতিষ্ঠ খেটে খাওয়া মানুষ। তীব্র রোদে কাজ করতে গিয়ে নাজেহাল হতে হচ্ছে। এই গরমে রোজাদারদের কষ্ট হচ্ছে।

ঈদকে সামনে রেখে কুমিল্লার শপিংমলে ঈদে বেচাকেনায় গরমে বেগ পেতে হচ্ছে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের। তবে শহরের তুলনায় গ্রামে দুর্ভোগ বেশি। অনেক এলাকায় ৬-৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। রোজায় তীব্র গরমের সঙ্গে বিদ্যুতের ভোগান্তি জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে।

কুমিল্লা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ ইসমাইল ভূইয়া বলেন, গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) থেকে টানা তিন ধরে জেলায় সর্বোচ্চ ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আদ্রতা মাত্র ২৭ থেকে ২৮ শতাংশ। বাতাসে জলীয় বাষ্প কমে যাওয়ায় তাপমাত্রা বেশি অনুভূত হচ্ছে। কুমিল্লায় আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে কয়েক দিন পর বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। 

কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা রিকশাচালক করিম বলেন, ‘খুব গরম পড়ছে। গরমে রিকশা নিয়ে বসে আছি। কী আর করব ভাই? তারপরও চালাতে হচ্ছে। না চালিয়ে কী করব? পেট তো কেউ চালাবে না, সামনে ঈদ।’ 

চকবাজার এলাকার মাছ ব্যবসায়ী সাল্লাউদ্দিন বলেন, ‘রাস্তায় যেন আগুন পড়ছে। বাজারে না বসলে খাব কী? একদিন কাজ না করলে আমাদের খাবার জোটে না। তাই কাজ করছি।’

কালা মিয়া নামের রাজগঞ্জের ফল ব্যবয়ায়ী বলেন, ‘সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত টানা রোদ। এরমধ্যে আমাদের রোজা থেকে কাজ করতে হচ্ছে।’

/বকুল/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়