জাদুর কল

ভূপৃষ্ঠ থেকে ২৪ ঘণ্টা অলৌকিকভাবে উঠছে স্বচ্ছ পানি। এক মিনিটের জন্যও বন্ধ হয় না পানি ওঠা। গত ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে কোনো যান্ত্রিক শক্তি ছাড়াই ওঠা এই পানিকে এলাকাবাসী বলছেন আল্লাহর কুদরত। তারা এই পানির ধারার নাম দিয়েছেন ‘জাদুর কল’ বা ‘অটোকল’। এই অলৌকিক জাদুর কলের দেখা মিলেছে শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তঘেঁষা চারটি গ্রামে।

পাহাড়বেষ্টিত রাঙ্গাজান, বালিজুরি, খ্রিষ্টান পাড়া ও অফিস পাড়া গ্রামের মানুষ ২৪ ঘণ্টা অনবরত পাচ্ছেন এই জাদুর কলের সুপেয় পানি। নিত্যদিনের সাংসারিক কাজের পাশাপাশি কৃষি কাজেও এই পানি ব্যবহার করছেন তারা।

সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই পানির সুষ্ঠু ব্যবহার করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, এই পানি ব্যবহারের ফলে আশপাশের অনাবাদি আরও জমিত বোরো-আমনসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ করা সম্ভব।

দেড় ইঞ্চি পাইপ ৭০ থেকে ৮০ ফুট বোরিং করলেই পানি উঠতে থাকে। আর এই জাদুর কল বদলে দিয়েছে চার গ্রামের মানুষের ভাগ্য। শত শত কৃষককে বোরো-আমন ও সবজিসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে পানির জন্য হাহাকার করতে হয় না। বিদ্যুৎ ও তেল চালিত সেচের জন্য বসেও থাকতে হয় না তাদের। প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া পানির মাধ্যমে জমি সেচ দিয়ে ফসল উৎপাদন করছেন চাষিরা। 

বিপুল নামের এক কৃষক বলেন, আমাদের কৃষি জমি এই পানি দিয়ে আবাদ হচ্ছে। এই পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকলে আরও জতিতে ফসল আবাদ করা যেতো।

শ্রীবরদী উপজেলা কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. হুমায়ুন দিলদার বলেন, ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমাতে চায় কৃষি অফিস। এ ধরনের পানির অপচয় রোধ করে সংরক্ষণের মাধ্যমে তা বছরজুড়ে কাজে লাগানো গেলে উপকৃত হতো কৃষকরা।