ঢাকা     রোববার   ০৫ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২২ ১৪৩১

সূতলকাঠিতে মাছ ধরার উৎসবে মেতেছিল হাজারো গ্রামবাসী

সাইফুল ইসলাম আকাশ, শরীয়তপুর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২৪, ২১ এপ্রিল ২০২৪  
সূতলকাঠিতে মাছ ধরার উৎসবে মেতেছিল হাজারো গ্রামবাসী

শরীয়তপুর ডামুড্যায় দক্ষিণ সূতলকাঠির বিশাল পকুরে প্রতিবছরের মতো এ বছরও অনুষ্ঠত হলো দিনব্যাপী মাছ ধরার উৎসব। আর এ উৎসবকে ঘিরে প্রায় ৩ একর আয়তনের এই পুকুরের চারদিকে ভিড় জমেছিল হাজারো মানুষের।

দুই শত বছরের অধিক সময় ধরে ৩২টি পরিবার আয়োজন করে এ মাছ ধরার উৎসবের। উৎসবকে ঘিরে আনন্দ মাতে এলাকাবাসী। 

শনিবার (২০ এপ্রিল) নৌকা ভেলা ও জাল নিয়ে ১১০ জন জেলে এই মাছ ধরার উৎসবে অংশগ্রহণ করেন । 

সূতলকাঠির ফোরকার পার এলাকা সংলগ্ন পুকুরটিতে উৎসবে অংশ নেওয়া  মৎস্য শিকারিরা প্রতিটি জালের জন্য দুই হাজার টাকা করে টিকেট কিনেন। নৌকা, কলা গাছের ভেলা দিয়ে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মাছ ধরেন। মাছ ধরার এ উৎসব দেখতে পুরো এলাকাটি এক উৎসবের জনপদে পরিণত হয়। 

লোকজন উৎসব আমেজে মাছ শিকার দেখেন। শিকারিরা পানিতে জাল টেনে হৈ-হুল্লোড় আর উল্লাস করে মাছ ধরেন। এ সময় চিরচেনা গ্রামবাংলার অপরূপ সৌন্দর্যময় এক অন্যরকম দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। প্রতিবছর এই দিনে মাছ ধরার উৎসব বসে এখানে। উৎসব দেখার জন্য অনেক আত্মীয়স্বজন একদিন আগেই চলে আসেন। 

মাছ ধরায় অংশ নেওয়া আল আমিন বলেন, শিকারিদের অনেকেই রুই, কাতর, চিতল, ফলি, তেলাপিয়া, সিলভারকাপসহ বিভিন্ন দেশি প্রজাতির মাছ ধরেন। কেউ কেউ একাধিক ধরলেও কেউ ফিরেন সামান্য কিছু মাছ নিয়ে। 

এ দিন কয়েক লাখ টাকার মাছ শিকার হয়েছে বলে ধারণা তাদের। তবে যারা বড় মাছ শিকার করেছেন তাদের চোখে মুখে ছিলো আনন্দের ছাপ। মাছ শিকারিদের অনেকেই বলেন- মাছ পাওয়া বড় বিষয় নয়, এখানে অংশগ্রহণ করেছি, এটাই আনন্দের বিষয়।

এ বিষয়ে উৎসবের আয়োজক মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, গ্রাম বাংলার মাছ ধরার ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্যই এ আয়োজন। এটা দুই শত বছরের পুরনো ঐতিহ্য, আমরা ধরে রাখার চেষ্টা করছি। এর ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকবে।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কনেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও এ মাছ ধরার উৎসবের আয়োজন করা হয়। এ আয়োজন মাধ্যমে সৌখিন মাছ শিকারি ও এলাকাবাসীদের ভিতরে এক ধরনের আনন্দ বিরাজ করে। আমি আশা করবো এ ধারা অব্যহত থাকবে।

/টিপু/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ