‘দীপু হত্যায় রাষ্ট্রের অবহেলা দৃশ্যমান’
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে পোশাক শ্রমিককে হত্যার পর মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় দেশব্যাপী নিন্দার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। নিহত শ্রমিক দীপু চন্দ্র দাসের বাড়ি পরিদর্শন করেছেন বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহীদুল আলমের নেতৃত্বে নাগরিক কোয়ালিশনের ১৮ সদস্যের একটি দল দীপুর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।
পরে শহীদুল আলম সাংবাদিকদের বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের যে প্রত্যাশা ছিল, তা পূরণ হচ্ছে না। বিভিন্ন মবের ঘটনায় রাষ্ট্র ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবহেলা দৃশ্যমান। দ্রুত এসব ঘটনার সুষ্ঠ বিচার প্রত্যাশা করছি৷
এ সময় বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
শহিদুল আলম বলেন, আমরা মর্মাহত, ব্যথিত। আমাদের দেশে এরকম অন্যায় হবে, নৃশংসভাবে হত্যা করা হবে, এটা আমাদের কাম্য নয়। আমরা ভিন্ন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছি, স্বৈরাচার যাওয়ার পরে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছি।
নৃবিজ্ঞানী রেহনুমা আহমেদ বলেন, যারা ধর্মের নামে মব সন্ত্রাস করছে, তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। আমরা এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না। সরকারের উচ্চ পর্যায়ে এসব নিয়ে নিয়মিত কথা বললেও দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন, আমরা স্বাধীনতার জন্য লড়েছি। বৈষম্যহীন সমাজ হতে হবে। আমার মনে হয় না, ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হত্যা করে ইসলাম ধর্মের প্রতি সম্মান আনা যায়। ইসলাম ধর্মের প্রতি সম্মান বজায় রাখা মানে হচ্ছে, শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। যারা শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে না, তারা ইসলাম ধর্মের শত্রু। এটা আমাদের ধারণ করতে হবে, এটা আমাদের মনে রাখতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন— মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটির জাকির হোসেন, সম্প্রীতি যাত্রার ফেরদৌস আরা রুমি, মানবাধিকারকর্মী দিপায়ন খীসা, শিপন কুমার রবিদাস, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
ঢাকা/মিলন/রফিক