ঢাকা     শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২০ ১৪৩১

বশেমুরবিপ্রবি

শিক্ষার্থীরা ফিরছেন আপন ঠিকানায়

হৃদয় সরকার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৩, ২০ এপ্রিল ২০২৪   আপডেট: ১২:০৯, ২০ এপ্রিল ২০২৪
শিক্ষার্থীরা ফিরছেন আপন ঠিকানায়

পবিত্র মাহে রমজান, ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ছুটি ছিল দীর্ঘদিন। ছুটি শেষে এবার আপন ঠিকানায় ফিরছেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে এবং নিজের ভবিষ্যৎ জীবন গড়ার লক্ষ্যে পুনরায় ব্যতিব্যস্থ হতে শুরু করেছেন তারা।

রমজান, ঈদ ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে গত ২৯ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আজ শনিবার (২০এপ্রিল) শেষ হচ্ছে দীর্ঘদিনের এ ছুটি। এ ২২দিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা ঈদ ও বাংলা নববর্ষের আমেজে পরিবারের সঙ্গে সময় পার করছিলেন। এদিকে যুক্ত ছিল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাসন্তী ও বিশ্বকর্মা পূজাও।

বন্ধে শিক্ষার্থীরা ছিলেন মায়ের কোলে সমাদরে। খেয়েছেন নানা পদের খাবার, উপভোগ করেছেন পরিবারের ভালোবাসা, আবদ্ধ হতে পেরেছেন সামাজিক বন্ধনে, মিশতে পেরেছেন নিজ এলাকায় আপনজনের সঙ্গে। তবে কি এখন মায়ের কোল ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে ইচ্ছে করে! খেতে মন চায় মেসের মাসি কিংবা খালার হাতে রান্না করা তিক্ত খাবার। যে খাবার খেলে মনে পড়ে 'কতইনা সুস্বাদু ছিল মায়ের হাতের রান্না!'

কিন্তু তাদের ফিরতেই হবে উচ্চশিক্ষা অর্জনে বিশ্ববিদ্যালয়ে। খেতে হবে মেস কিংবা হলের সেই অপ্রিয় খাবারগুলো। টিউশনের তাগিদে ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষার্থী ফিরেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার অনুভূতি ব্যক্ত করে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০২২-২৩সেশনের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা বলেন, এতোদিন মায়ের কাছে ছিলাম। আমি যা খেতে পছন্দ করতাম, মা সেগুলো রান্না করে দিতেন। সারাদিন ঘোরাফেরা করে সময় কাটিয়ে দিতাম। কিন্তু মায়ের কোল ছেড়ে আসতে ইচ্ছে হয়নি, কিন্তু তারপরও কিছু্ই করার ছিল না।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী জুবাইদা রহমান তুলি বলেন, বাড়ি ছেড়ে বাহিরে থাকার অনুভূতিটা এবারই প্রথম। ছুটির এ সময়ে পরিবারের সঙ্গে ছিলাম, তাদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেছি। পহেলা বৈশাখে মেলায় ঘুরতে গিয়েছি। সারাদিন অবসরে ছিলাম, খাওয়া আর ঘুম ব্যতিত তেমন কোনো কাজ ছিল না। কিন্তু এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরতে হচ্ছে। নিজের রান্না নিজে করতে হবে। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ক্লাসে যেতে হবে। ক্লাস শেষ করেই আবার টিউশন। টিউশন শেষ করে বাসায় এসে রান্না করে খাওয়া, এ এক অসহ্যকর যন্ত্রণা।

/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়