সুইমিং পুলে ডুবে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ঢাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
![সুইমিং পুলে ডুবে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু সুইমিং পুলে ডুবে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2024April/DU-Student-news-2404220944.jpg)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) গোসল করতে গিয়ে সুইমিং পুলের পানিতে ডুবে সোয়াদ (১৯) নামে দর্শন বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী মারা গেছেন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) পৌনে ২টার দিকে ঢাবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সংলগ্ন সুইমিং পুলে এ ঘটনা ঘটে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তার বাড়ি বগুড়া জেলায়।
জানা যায়, ঢাবি শিক্ষার্থী সোয়াদ সুইমিং পুলে গোসল করতে গিয়ে ডুবে যান। পরে অচেতন অবস্থায় তার সহপাঠীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তার সহপাঠিরা জানান, সোয়াদ সাঁতার জানতেন। তবে তিনি কিভাবে তলিয়ে গেছেন, তা কেউ জানাতে পারেননি।
এদিকে সোয়অদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থাকায় সাঁতার জানা সত্ত্বেও গোসল করার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যেতে পারে এমনটাই ধারনা অনেকের।
সুইমিং পুলে যাওয়া সোহাগ নামে আরেক সহপাঠী রাইজিংবিডিকে জানান, দুপুরে ঢাবির অনেক শিক্ষার্থী সুইমিং পুলে গোসল করছিলেন। সেখানে আমরাও ছিলাম। সবাই পুলে সাঁতার কাটছিলাম ঠিক তখনই দেখি সোয়াদকে ঘিরে আছে সবাই। পরবর্তীতে আমরা সবাই মিলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়।
সুইমিং পুলে থাকা ঢাবির শিক্ষার্থী তৈমুর রহমান জানান, সোয়াদ তার হলের জুনিয়র ছিলেন। সুইমিং পুলে গোসলের সময় যখন পাড়ে ভিড় দেখেন, তখন সোয়াদের সহপাঠীরাই পেটে চাপ দিয়ে পানি বের করার চেষ্টা করছিলেন। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারি ছিলেন না।
ঢাকা মেডিক্যাল পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ মো. মাসুদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সোয়াদের মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি শাহবাগ থানা পুলিশ তদন্ত করছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমানকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে মহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান বলেন, ঘটনার পরই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলে আসি। এখনো পর্যন্ত আমি শাহবাগ থানায় আছি। সোয়াদের নিকটআত্মীয়দের সঙ্গে কথা হয়েছে। শাহবাগ থানা পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। এখন মরদেহটি কোনো প্রক্রিয়ায় পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা যায়, সেটা নিয়ে কাজ করছি।
/হারুন/মেহেদী/
আরো পড়ুন