ঢাকা     শনিবার   ০৪ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২১ ১৪৩১

‘ছাত্রলীগের অনুরোধে’ রাবির গ্রীষ্মকালিন ছুটি বাতিল

রাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩৯, ২৫ এপ্রিল ২০২৪  
‘ছাত্রলীগের অনুরোধে’ রাবির গ্রীষ্মকালিন ছুটি বাতিল

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গ্রীষ্মকালাীন ছুটি বাতিল করে ঈদুল-আযহার সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে জনসংযোগ প্রশাসক ছুটি সংক্রান্ত এক বিজ্ঞাপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে রাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুরোধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ গ্রীষ্মকালিন ছুটি বাতিল করেছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম টিপু।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রীষ্মাবকাশ ৫ থেকে ৯ মে এবং ১৬ থেকে ২৪ জুন ঈদ-উল-আযহার ছুটি পূর্বনির্ধারিত ছিল। কিন্তু চলমান তাপদাহের কারণে পানি সংকটের আশঙ্কা এবং শিক্ষার্থীদের এ সংক্রান্ত নানাবিধ অসুবিধার কথা বিবেচনা করে ছুটিগুলো পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পুনর্বিন্যাস্ত ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষাসমূহ ৯ থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত এবং অফিসসমূহ ৯ থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। ৩০ জুন থেকে ক্লাস ও পরীক্ষাসমূহ যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তটি মূহুর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনেকেই বিভিন্ন গ্রুপে ও নিজেদের ফেসবুক টাইমলাইনে পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি দেন ও সমালোচনা করেন।

এর আগে, গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল)  শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্লাটফর্ম ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার’ নামের ফেসবুক গ্রুপে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু গ্রীষ্মের ছুটি সমন্বয় করার কথা তুলে ধরে লিখেন, ‘ঈদুল ফিতরের ছুটি, গ্রীষ্মকালীন ছুটি এবং ঈদুল আজহার ছুটি মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা টানা তিন মাস ভেঙে ভেঙে ছুটির সম্মুখীন হচ্ছেন। এতে ক্লাস-পরীক্ষার নিয়মিত ধারাবাহিকতা নষ্ট হচ্ছে এবং বারবার বাড়িতে আসা যাওয়া করায় বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। পহেলা মে থেকে ১৩ মে পর্যন্ত যে গ্রীষ্মকালীন ছুটি আছে, এটা যদি ঈদুল আজহার ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করা যায়, তাহলে কেমন হবে বিষয়টা? আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব স্তরের শিক্ষার্থীদের সুচিন্তিত মতামত প্রত্যাশা করছি।’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্তের পরই তার অনুসারী নেতাকর্মীদের ফেসবুকে ওই পোস্ট শেয়ার করে তাকে ধন্যবাদ জানাতে দেখা গেছে।

বিষয়টি অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ‘ফেসবুকে তো অনেক কিছুই দেখা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো সীদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ডিন, ট্রেজারারসহ প্রশাসনের সবাই রয়েছে। কারো মতামতের ভিত্তিতে যেমন কোনো সীদ্ধান্ত নেওয়া হয় না, তেমনই উপেক্ষায়ও করা হয় না।’

/শাকিবুল/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়